বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ স্টেলথ যুদ্ধাস্ত্র
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
এফ-২২ র্যাপ্টর
সামরিকবিদ্যায় স্টেলথ হচ্ছে সেই প্রযুক্তি যা ব্যবহার করে শত্রুর চোখকে ফাঁকি দেওয়া যায়। স্টেলথ বলতে আমরা সচরাচর স্টেলথ যুদ্ধবিমানই বুঝি। এ বিমানগুলো রাডারের নজর ফাঁকি দিয়ে চলতে পারে।
কিন্তু বিমানের বাইরেও আরও অনেক কিছুই স্টেলথ হতে পারে। যেমন, গ্রাউন্ড ভেহিকল, ফ্রিগেট, সাবমেরিন ইত্যাদি। আসলে যে অস্ত্র শত্রু দেখতে পায় না, তা-ই স্টেলথ। পকেটে থাকা একটা ছুরিও স্টেলথ। কিন্তু সামরিক সক্ষমতায় স্টেলথ বলতে সাধারণত শক্তিশালী যুদ্ধবিমান বা সাবমেরিনকেই বোঝায়। আজকের লেখায় জানা যাবে এরকম কিছু স্টেলথ অস্ত্রের নাম।
এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড
এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী বিমান। একই সাথে এটি একটি স্টেলথ বিমান। ঘণ্টায় প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার গতি অর্থাৎ ম্যাক ৩.২ গতিতে ছুটতে পারে এ বিমান। স্টেলথ প্রযুক্তির প্রথমদিককার যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬২ সালে এটি প্রথমবারের মতো আকাশে উড়ে।
এফ-১১৭ নাইটহক
বিশ্বের প্রথম স্টেলথ যুদ্ধবিমান হচ্ছে এফ-১১৭ নাইটহক। যদিও এটি কোনো ফাইটার নয়, বরং একটি ট্যাকটিকাল বম্বার। অর্থাৎ এটি দিয়ে কেবল আকাশ থেকে ভূমিতে আক্রমণ করা যায়। এ বিমান দিয়ে ডগফাইট সম্ভব নয়। ১৯৮৮ সালে মার্কিন বিমানবাহিনী প্রথমবারের মতো এ বিমানের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে স্বীকার করে। ইরাকে অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম-এর সময় এটি অংশ নেয়। ২০০৮ সালে এ বিমানটিকে অবসরে পাঠানো হয়।
বি-২ স্পিরিট
নরথ্রপ করপোরেশনের তৈরি বি-২ স্পিরিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্টেলথ স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার। নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সময় সোভিয়েতদের আকাশে চুপচাপ ঢুকে পড়তে পারবে, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বিমান তৈরি করা হয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ১৩২টি বি-২ স্পিরিট বানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে এতগুলো বিমান বানানো অপ্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হলে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল ২১টি বি-২ স্পিরিট বিমান নির্মাণ করে। ভারী ভারী ও জাঁদরেল সব বোমা পরিবহন ও নিক্ষেপে এ বোমারু বিমানের জুড়ি নেই।
এফ-২২ র্যাপ্টর
ফাইটার বিমানগুলোর মধ্যে প্রথম স্টেলথ যুদ্ধবিমান এটি। এফ-১৫ ঈগল-কে প্রতিস্থাপন করতে এফ-২২ র্যাপ্টর-কে সার্ভিসে আনা হয়।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে অপারেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা এ ফাইটার জেটটি বিশ্বের সবচেয়ে সফল যুদ্ধবিমানের তকমা পেয়েছে।
ওহিও-ক্লাস নিউক্লিয়ার মিসাইল সাবমেরিন
সাগরতলে বিচরণকারী সাবমেরিন এমনিতেও মোটামুটি স্টেলথ যুদ্ধাস্ত্র। এটিকে আরও গোপনীয় করে তুলতে সাবমেরিনেও স্টেলথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এরকম সাবমেরিনের মধ্যে নিউক্লিয়ার-শক্তি দ্বারা চালিত ওহিও ক্লাস ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিনগুলো অন্যতম। জনশ্রুতি আছে, সোভিয়েত সাবমেরিন ডিটেকশন সিস্টেমে এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো কখনো ধরা পড়েনি।
নাইটিনফর্টিফাইভ অবলম্বনে।