অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

১০০ দিনেই সম্ভব যেকোনো টিকার গণ-উৎপাদন, নতুন গবেষণা

সাই-টেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৩:৩০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

১০০ দিনেই সম্ভব যেকোনো টিকার গণ-উৎপাদন

১০০ দিনেই সম্ভব যেকোনো টিকার গণ-উৎপাদন

করোনাভাইরাস হানা দেওয়ার প্রায় নয় মাস পর প্রথম কোনো ব্যক্তিকে টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়। যেকোনো টিকা তৈরি করে তা গণহারে উৎপাদনে নিয়ে যাওয়া অনেক সময়সাপেক্ষ একটি কাজ।

কিন্তু যদি কোভিড টিকা তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তৈরি করা যেত, তাহলে আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেত। যেকোনো মহামারিতে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সময়মতো প্রতিকার না পাওয়া গেলে মৃত্যুর সংখ্যা কেবলই বাড়তে থাকে।

কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা সে চিন্তা কিছুটা লাঘব করলেন বোধহয়। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীরা যেকোনো ধরণের টিকা ১০০ দিনের মধ্যে তৈরি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। খবর স্কাই নিউজ-এর।

এ পদ্ধতি ব্যবহার করে যেকোনো নতুন ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করে তা ১০০ দিনের মধ্যে নিযুত পরিমাণে উৎপাদন করা যাবে। আর ওই ভাইরাস শনাক্ত করার ৬০ দিনের মাথায় টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। ১৩০ দিনের মধ্যে ওই টিকার ১০০ কোটি ইউনিট বাজারে আনা যাবে।

এ গবেষণাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের টিকা তৈরি দলের দ্বারা পরিচালিত। তবে এটি এখনো পিয়ার-রিভিউড করা হয়নি। ওই দলটির প্রধান ডক্টর স্যান্ডি ডগলাস বলেন, অ্যাডেনোভাইরাস-ভেক্টরড টিকা তৈরির জন্য মূল কাজ হলো একটি 'বীজ' ভাইরাস তৈরি করা। এটি যত দ্রুত তৈরি করা যাবে তত তাড়াতাড়ি টিকা তৈরি সম্ভবপর হবে।

নতুন গবেষণায় গবেষকরা খুঁজে বের করেছেন কীভাবে এই 'বীজ'টি দ্রুত তৈরি করা যায়। তারা বিভিন্ন ধাপের তুলনামূলক সাধারণ উন্নতি সাধন করে টিকা তৈরির গোটা প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে এনেছেন।

তাদের এই পদ্ধতিতে গবেষণাগারে টিকা'র কালচার-এ সৃষ্ট বর্জ্য সহজে দূর করা যায়, এবং একই সাথে কালচার-এর মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা যায়। ফলে পুরো কাজটি দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ হয়। কারণ এমনিতে কালচার থেকে বর্জ্য দূর করার কাজটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং এটি সামগ্রিক উৎপাদন কাজকে মন্থর করে দেয়।