অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিবেচনার আশ্বাস উপাচার্যদের

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রোববার   আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২০ রোববার

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। তিনি বলেছেন, অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

  • - ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি নিরসন;
  • - আর্থিক সাশ্রয়,
  • - পরীক্ষা দিতে গিয়ে আবাসনের সমস্যা নিরসন (বিশেষতঃ নারী ভর্তিচ্ছুদের জন্য এ সমস্যাটি প্রকট)

এরকম বহুবিধ কারনে দীর্ঘদিন থেকেই ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেবার চেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন করে আসছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে এ বিষয়ে তাদের ঐকমত্যও জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আচার্য, রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে তাঁর অভিপ্রায় স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছেন।

চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে রবিবার (১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এক সভায় অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসতে উপাচার্যদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ বছর বিশেষভাবে বিশাল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর একই সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গণপরিবহনে ব্যাপক যাতায়াতের ফলে করোনার প্রকোপ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রোধকল্পে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এ সময় বলেন তিনি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এই ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে সমন্বিত/গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারি তাহলে তা হবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় উপহার।

ভার্চুয়াল সভায় আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, কমিশনের অন্যান্য সকল সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম,  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার প্রমুখ।

সভায় ‘৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের তিনটির উপাচার্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের  আচার্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা নিরসনে এবং বিশেষতঃ করোনা সংকটকে বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া এবং এর স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখার বিষয় নিশ্চিত করতে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও  সিন্ডিকেটের সাথে আলোচনা করে ফের বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের সাথে বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হন।