শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যেও ষোল আনা ইলিশ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার আপডেট: ০৬:২৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
ইলিশ [ছবি ইলিশের নানারূপ গ্রুপের সৌজন্যে]
স্বাদে ও গুণেমাণে অনন্য হওয়ায় ইলিশকে মাছের রাজা বলা হয়। ইলিশের নাম শুনলে জিভে জল আসে না-এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশের টক, ইলিশ ভাজা, ইলিশের ডিম-সব পদই এক কথায় অসাধারণ।
সুস্বাদু এই মাছ পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ১০০ গ্রাম ইলিশে প্রায় ২১.৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে রয়েছে উচ্চপরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। সেই সঙ্গে আছে সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি সব ভিটামিন ও মিনারেল। যা মানুষের শরীরের নানা সুরক্ষার কাজ করে।
ক্যান্সার মোকাবেলা
নানা খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ ইলিশ। এই মাছে রয়েছে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক ও পটাশিয়াম। এসব থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে। ফলে ক্যান্সার মোকাবেলা করা যায়।
দাঁত ও হাড়ে পুষ্টি জোগায়
ইলিশে থাকে ফসফরাস, যা দাঁত মজবুত করে। এতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম হাড়ে পুষ্টি জোগায়। এই মাছে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হার্ট সুস্থ রাখে
ইলিশে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মূলত সামুদ্রিক মাছ। তাই এতে চর্বিও কম। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ে
রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুণ কার্যকর ইলিশ। এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইপিএ ও ডিএইচএ থাকে। তাই শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ইলিশের জুড়িমেলা ভার। রোদে ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধে এই মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাট দারুণ সাহায্য করে। এছাড়া এতে বিদ্যমান প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। যা ত্বক টানটান ও নমনীয় রাখতে সহায়তা করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
ইলিশের ভিটামিন-এ এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখ ভালো রাখে। চোখের সুস্থতা রক্ষার পাশাপাশি জ্যোতিও বাড়ায় এই মাছ। বৃদ্ধ বয়সেও দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ থাকে।
রাতকানা ও রিকেট রোগ প্রতিরোধ
ইলিশে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এই মাছে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যা শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অবসাদ, আলসার, কোলাইটিস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।