চলচ্চিত্রের ভাষায় ভাবনায় গভীরতা আনতে হবে, সেমিনারে মত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১০:১৬ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
"চলচ্চিত্র তখনই চিন্তার খোড়াক যোগায় যখন একজন নির্মাতা নান্দনিক, নতুন নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে ভাবনার গভীরতা আছে এমন একটি কাহিনী উপস্থাপন করেন।"
‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে চিন্তাশীলতা ও রাজনৈতিক সচেতনতা’ বিষয়ক একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এ কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ।
তিনি বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রকারকে চিন্তা করে ভাষার গভীরতা নিয়ে আসতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেকচার থিয়েটার হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র।
চলচ্চিত্রের কাহিনী হতে পারে সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা সমস্যার বিশ্লেষণ, যা প্রভাবিত করছে বহু মানুষের জীবন, যোগ করেন অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ।
তিনি বলেন, এখন চলচ্চিত্র নির্মাণশৈলীতে চিন্তার গভীরতা ও সৃজনশীলতার প্রয়োজন হয়, যা গতানুগতিক কাঠামো ও পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে নির্মাণ করা যায় না।’
‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জহির রায়হান প্রথম পলিটিক্যাল প্যাটার্ন যুক্ত করেন। সেন্সর বাধা দেবেই, কিন্তু একজন চিন্তাশীল চলচ্চিত্রকার জানেন কীভাবে সেন্সরকে কাটিয়ে এটি দর্শকের সামনে নিয়ে আসা যায়,’ মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন তিনি।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে ‘এই ইয়াং ছেলেরা এতটা ব্রুটাল হয়ে গেলো কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ না করাকেও দায়ি করতে হবে।
ধর্মীয় গোড়ামি, অসহিষ্ণুতা ও কুসংস্কার নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ড. নাদির জুনাইদ।
"চলচ্চিত্র মানুষকে প্রশ্ন করা শেখাবে। চলচ্চিত্রের ক্যানভাস ধরার পাশাপাশি, সমাজের ক্যানভাসটাকেও এতে তুলে ধরতে হবে। সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিবর্তন না এলে চলচ্চিত্রে পরিবর্তন আনা অসম্ভব," সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া।
উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান সেমিনারে সভাপতিত্বে করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজীম, সহকারী অধ্যাপক ড. সাইফুল হক।