মাউশির ওয়েবসাইটে সিলেবাস প্রকাশ
রবিবার থেকে মাধ্যমিকের ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মাধ্যমিকের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রস্তুত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে রবিবার (১ নভেম্বর) থেকে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। নিজেদের ওয়েবসাইটে এই সিলেবাস প্রকাশও করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে ৩০ কার্যদিবসে সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান শেষ করবে। রবিবার থেকেই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে। এবং তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্কুলে জমা দিবে।
প্রক্রিয়া-
শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে মাধ্যমিকের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু
৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
এরপর সিলেবাস যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে অধিদফতরে
এখন সিলেবাস পৌঁছে গেছে স্কুলগুলোয়।
শনিবার থেকে সিলেবাস অনুযায়ী স্কুল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে শিক্ষার্থীরা
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে
এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা যেখানে রয়েছে সেই এলাকার নিকটতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করতে এবং জমা দিতে পারবে।
সিলেবাস শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের শিখন যোগ্যতা অর্জনের জন্য। যা পরবর্তী ক্লাসের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এই সিলেবাস অনুযায়ী মূল্যায়ন করে ফলাফল নির্ধারিত হবে না।
শিক্ষার্থীদের কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হবে সিলেবাসের মাধ্যমে। সিলেবাস সম্পন্ন করার পরও যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে সিলেবাস সম্পন্ন করা হবে।
গত ১৬ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর দফায় দফায় ২৫ এপ্রিল, ৫ মে, ৩০ মে, ৬ আগস্ট, ৩১ আগস্ট, ৩ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এই ছুটির মেয়াদ বেড়েছে নভেম্বরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত। তবে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনলাইন,টিভি ও বেতারে ক্লাস চালিয়ে আসছে সরকার।