জিম মরিসন- বেদনা আর বিষাদের ডাকনাম
পার্থ সনজয়
প্রকাশিত: ০১:৪৫ এএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার আপডেট: ০৮:২৬ পিএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার
নিজের লেখা কবিতার সেই ‘স্প্যানিশ ক্যারাভান’ চড়ে পৃথিবী দেখার আগেই, ১৯৭১ সালের ৩ জুলাই প্যারিসে মাত্র ২৭ বছর বয়সে চলে গেলেন ভিন্ন এক জগতে...
প্যারিসের রাস্তায় কিংবা ফ্লোরিডার আকাশে যখন রকগানের সুর ভেসে ওঠে, তখন সে সকল সুরে যে নামটি মিশে থাকে, তা হল জিম মরিসন। নামটি সংগীতের ভুবনে যতটা জনপ্রিয়, ঠিক ততটাই ভালোবাসার।
পুরো নাম জেমস ডগলাস মরিসন। বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। বাবা রেয়ার এডমিরাল জর্জ স্টিফেন মরিসন ও মা ক্ল্যারা ক্লার্ক মরিসনের প্রথম সন্তান জিম ১৯৪৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেটের মেলবোর্ন শহরে জন্ম নেন। বাবা ছিলেন নেভাল অফিসার এবং শখের পিয়ানো বাদক।
জিম মরিসন বলতেন, 'নিজেকে উন্মুক্ত করুন নিজেরই গভীরতর আতংকের ভেতর। তারপর দেখবেন, আতংকের কোনো ক্ষমতাই নেই। বরং স্বাধীনতার আতংক ছোট হতে হতে নাই হয়ে যাবে। আর আপনি হয়ে উঠবেন স্বাধীন।'
১৯৭১ সালে এই দিনে বয়স কেবল সাতাশ প্যারিসের একটি হোটেলে মৃত্যুবরণ করেন জিম মরিসন। স্নানকক্ষের বাথটাবে খুঁজে পাওয়া যায় তার নিথর নিষ্প্রাণ দেহ। মৃত্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মদ্যপান ও মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কথা বলা হলেও তা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে ।
জানা নেই নিজের অত্যাচারিত আত্মার প্রতি কি করেছিলেন জিম।
একজন জিম মরিসন.. ভাবনার প্রতিটি উপদ্রুত এলাকাকে গানের মুক্তাঞ্চলে পরিনত করেছিলেন তিনি.. কেন তবে এই ক্ষমাহীন প্রস্থান?
ষাটের কাউন্টার কালচার আর রক এন রোল মিউজিকের ঘোর লাগা সময়ে জিম মরিসন তারুণ্য আর বিদ্রোহের আইডল হয়ে উঠেছিলেন, তার মৃত্যুর পরেও তা জারি আছে। রোলিং স্টোনস ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা একশ গায়কের তালিকায় তার নাম শীর্ষে। অজস্র সিনেমা, সাহিত্য, গানের উপর তার কণ্ঠ আর ব্যক্তিত্বের প্রভাব। ১৯৯১ সালে ভ্যান কিলমার অভিনীত ‘দ্য ডোরস’ কিংবা ২০১১ এর বলিউড সিনেমা ‘রকস্টার’– তার জীবন থেকে সরাসরি প্রভাবিত। জিম মরিসন- দ্য লিজারড কিং, এখনো নিয়ম-না-মানা রকস্টারের প্রতীক।