দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার
গোলাম মসীহ ফিরছেন ঈদের পরেই
প্রকাশিত: ০৭:৪০ এএম, ৩০ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
সৌদি আরবের রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোসীহ সে দেশে পাঁচ বছরের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে এবার দেশে ফিরছেন। ঈদ-উল আযহার পরপরই দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে তার। গোলাম মসীহ ফিরে আসার প্রাক্কালে তার সে দেশে অবস্থানের সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে রিপোর্ট করেছে আরব নিউজ। তাতে গোলাম মসীহকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে সৌদি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসছেন গোলাম মসীহ।
সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচবার সৌদি আরব সফর করেছেন, বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। তাতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক বিষয়াবলী স্থান পেয়েছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক নিয়ে এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে মানব সম্পদভিত্তিক সম্পর্ককে বহুমাত্রিক অংশিদারীত্বের সম্পর্কে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোলাম মসীহ যে ভূমিকা রেখেছেন তা এই খবরে উদ্ধৃত করা হয়। ২০১৯ সালে সৌদি আরবের একটি শক্তিশালী বিনিয়োগকারী টিম বাংলাদেশ সফর করে, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৌদি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী। ওই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিনিয়োগ চুক্তিও হয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়। এছাড়াও গোলাম মসীহর সময়ে সৌদি বাংলাদেশ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন দুই দফা সফল বৈঠক করে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা স্মরণ করে গোলাম মসীহ আরব নিউজকে বলেন, ওই বৈঠকের পর দুই দেশের অর্থনৈতিক ও দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে। তার সময়ে দুই দেশের মধ্যে ৪০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুত উতপাদন, সৌরশক্তি, এলএনজি সরবরাহ ও সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মতো বড় বড় খাতে সহযোগিতা।
সৌদি আরবে অবস্থানকালে গোলাম মসীহ প্রবাসীদের জন্য কয়েকটি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছেন যার মাধ্যমে সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত ২২ লাখ বাংলাদেশিকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বাদশাহ সালমানের নেতৃত্বে সৌদি ভিশন ২০৩০ কে মাথায় রেখে তিনি এমন কিছু অর্থনৈতিক অংশীদারীত্ব নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন যা দুই দেশের জন্যই সুবিধা বয়ে আনবে। দুই দেশের মধ্যে হজ বিষয়ক সহযোগিতার সম্পর্ক অনেক বেশি জোরদার হয়েছে। মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভেও রয়েছে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশিদের জন্য হজব্রত পালন সহজতর হবে বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।