অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টুইটার সিইও ডরসির বিদায়ে ‘নিষিদ্ধ’ কঙ্গনার উল্লাস

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

টুইটারের সিইও পদ থেকে সোমবারই পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন জ্যাক ডরসি। সেই সিংহাসনে এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। আর সেই প্রেক্ষিতেই উৎফুল্ল কঙ্গনা রানাওয়াত। কারণ, ডরসি-কালেই টুইটার থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বদাই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থাকেন কঙ্গনা রানাওয়াত। গত মে মাসে বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। তার আগেও উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসায় মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী, সেই সময়েই আগাম সাতর্কবাণী দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনাকে টুইটারের তরফে। 

কিন্তু ওই স্বভাব পরিবর্তন হয়নি, একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করেছেন। কখনও টুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পোস্ট, আবার কখনও বা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট। তাতেও চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। শেষমেশ মে মাসে বাংলার ভোট পরবর্তী সময়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন, তখনই ঘটে বিপত্তি!

শেষ টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিজের গুজরাট দাঙ্গার রূপ দেখানোর বার্তা দেন কঙ্গনা। তার জেরেই টুইটারের পক্ষ থেকে শাস্তিস্বরূপ চিরতরে বলিউড ক্যুইনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এবার যখন জ্যাক ডরসিই পদত্যাগ করলেন টুইটারের সিইও পদ থেকে, তখন কঙ্গনা বেজায় খুশি। সেই খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ইনস্টা স্টোরিতে তিনি তোপ দেগেছেন প্রাক্তন টুইটার সিও-র বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর মন্তব্য, ‘টা-টা কাকু’।

উল্লেখ্য, সোমবারই টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সংস্থার নতুন সিইও পরাগ আগরওয়াল। ইন্দো-মার্কিন পরাগ ২০১১ সালে টুইটারে কাজ শুরু করেন। সেই সময় মাইক্রো ব্লগিং সাইটের চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসাবে নিয়োজিত হন তিনি। 

২০১৭ সাল পর্যন্ত একটানা এই দায়িত্ব সামলেছেন পরাগ। প্রযুক্তিগত দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সংস্থার আয়-ব্যয়, রিসার্চ টিমের সঙ্গেও কাজ করতে হয়েছে। যা পরাগের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।