অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শায়েস্তা খাঁর সাত গম্বুজ মসজিদ 

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৫:৫৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

৩৫০ বছর ধরে ইতিহাস বহন করে যাওয়া ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, ১৬৮০ সালের দিকে নবাব শায়েস্তা খাঁ’র পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মোঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁ রাজত্ব করে গেছেন। 

হয়ত, সাত গম্বুজ মসজিদের আশপাশে কোথাও বাঁধা ছিল নবাবের ঘোড়া। রানি, রাজপুত্র, রাজকন্যারা ঘুরে বেড়িয়েছেন এখানকার পথ-প্রান্তর-নদীতে।ছোটাছুটি করেছেন নবাবের সৈন্য-সামন্তরা দল বেঁধে। যদিও এসব কথার পক্ষে সাক্ষী দেয়ার এখন আর কেউ বেঁচে নেই।

মসজিদটিতে সাতটি গম্বুজ থাকার কারণে একে সাত গম্বুজ মসজিদ বলা হয়। সাত গম্বুজের মধ্যে রয়েছে তিনটি বড় গম্বুজ আর চারটি ছোট গম্বুজ। এর মিনারের সংখ্য চারটি। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির ভিতরের দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ৬৮ এবং প্রস্থে ৮ দশমিক ২৩ মিটার। পশ্চিম দিকের দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব। এছাড়া তিনটি খিলান, মসজিদের সৌর্ন্দয অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মোট চার সারিতে দাঁড়িয়ে প্রায় শ’ খানেক মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন।


 
এলাকায় মসজিদের ইতিহাসকে ঘিরে আছে নানা রকম কল্প কাহিনী। কারও ধারণা, মসজিদটি গায়েবী, হঠাৎ করে একদিনে তৈরী হয়েছে। তবে, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে এসব মনগড়া গল্পের অবসান হয়েছে।

এর সামনে রয়েছে ছোটখাটো উদ্যান। দূর থেকে উদ্যানসহ মসজিদটি দেখতে অসাধারণ মনে হয়। লালবাগ র্দূগ এবং খাজা আম্বর মসজিদের সঙ্গে এই মসজিদের অনেক মিল রয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী ৩৫০ বছরের পুরনো, সাত গম্বুজ মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

মসজিদটি একসময় বুড়গঙ্গা নদীর কিনারে ছিল। তবে শহরায়নে নদী হয়েছে ছোট। আর নদী থেকে দূরত্ব বেড়েছে মসজিদের। মাঝের পথে জন্ম নিয়েছে বড় বড় দালান কোঠা। 

এটির উত্তর পূর্বকোণে একটি কবরস্থান রয়েছে। রাস্তার অন্যপাশে আছে একটি সমাধি, বলা হয়ে থাকে এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। যদিও এর সত্যতা নিয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।