গীতিকার মাসুদ করিম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৩ বিশিষ্টজন
আশরাফুল হাবিব মিহির, নিউইর্য়ক
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
নিউ ইয়র্কের কুইন্সে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশের খ্যাতনামা গীতিকার মাসুদ করিমের স্মৃতিতে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। গত ১৩ নভেম্বর নবান্ন মিলনায়তনে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের তিনজন বিশিষ্টজনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত মাসুদ করিমের স্ত্রী দিলারা আলোর কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম, লেখক-সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরন এবং ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী।
সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্টজনেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি মাসুদ করিমের সঙ্গীতে অবদানের কথা তুলে ধরেন আগত অতিথিদের কাছে। দেশ বিদেশের অনেক খ্যাতিমান সুরকারেরা মাসুদ করিমের রচিত গানে সুর দিয়েছেন এবং বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীরা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
মাসুদ করিমের গানে কন্ঠ দেওয়া শিল্পীদের মধ্যে রুনা লায়লার “যখন থামবে কোলাহল” ও “শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো”, সাবিনা ইয়াসমিনের –“আমি রজনী গন্ধা ফুলের মত গন্ধ বিলিয়ে যাই”, ফেরদৌসী রহমানের- “দুটি চোখে চোখ রেখে আমারে তুমি শুধালে”, শাহনাজ রহমতুল্লাহ –“ঐ আকাশ ঘিরে সন্ধ্যা নামে রাতের আভাসে”, ঊষা উথুপের –“নেই নিঃশ্বাসের বিশ্বাস”, মাহমুদুন নবীর –“বাতাসে তোমার সংলাপ শুনি”, আবদুর জব্বারের – “শত্রু তুমি বন্ধু তুমি তুমি আমার সাধনা”, খুরশীদ আলমের- “তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছো মানুষ কিনা”, সৈয়দ আব্দুল হাদীর- “কিছু বল কিছু বল”, দিলারা আলোর- “জোনাক জোনাক রাত”, হাসিনা মমতাজের- “তন্দ্রা হারা নয়ন আমার”, আনোয়ার উদ্দিন খানের- “যদি নীল সাগরের মুক্ত তুমি চাও” এবং এম এ শোয়েবের –“মনে কি পড়ে একদিন আমিও ছিলাম” -এই গানগুলো উল্লেখ করার মতো।
বাংলাদেশের সঙ্গীতে অবদানের জন্য রজনীগন্ধা (১৯৮২) এবং হৃদয় থেকে হৃদয় (১৯৯৪) ছবির জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
কানাডা প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী দিলারা আলো পাঁচ যুগেরও বেশি সময় আছেন এই সঙ্গীত জগতে। স্বামী প্রয়াত গীতিকার মাসুদ করিম ১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়লে মৃত্যুবরণ করার পর তার নামে নামে এই অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করেন। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন সহ অধিকাংশ শিল্পীকে ইতোমধ্যে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।