যেসব কারণে ধ্বংস হতে পারে মানবসভ্যতা
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার আপডেট: ১১:২৪ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
পৃথিবীতে মানবজাতি বিলুপ্তির কারণ হতে পারে অনেককিছু
নিউক্লিয়ার যুদ্ধে পৃথিবীর মানবসভ্যতা ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা তো অনেকেই করেন। কিন্তু এর বাইরেও আরও নানা দুর্ঘটনা মানবজাতির সমাপ্তি ডেকে আনতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি সম্ভাব্য ঘটনার কথা।
সূর্য
পৃথিবীতে যাবতীয় প্রাণের উৎস হচ্ছে সূর্য। কিন্তু এই সূর্যই সুদূর, সুদূর ভবিষ্যতে হতে পারে পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সূর্যের মতো নক্ষত্রগুলো ক্রমাগতভাবে আরও উজ্জ্বলতর হয়ে পুড়তে থাকে। অর্থাৎ, আগামী ১০০ কোটি বছর পরে সূর্যের তাপমাত্রা ১০ গুণ বেড়ে যাবে। এতে করে হয়তো খুব বেশি কষ্ট হবে না বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু এর ফলে পৃথিবী থেকে আরও বেশি পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে। পানির বাষ্প একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস, ফলে এটি পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। এতেও যদি মানুষ টিকে থাকে, তাহলেও অবশ্য শেষরক্ষা হবে না। সূর্যের জীবনীশক্তি শেষ হওয়ার আগে এটি থেকে নির্গত রশ্মি পৃথিবীকে পুড়িয়ে ফেলবে।
উল্কার আঘাত
পৃথিবীর দিকে প্রায়ই ছোটখাট উল্কাপিণ্ড ছুটে আসে। কিন্তু এগুলো মাঝপথেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু বড়সড় কোনো উল্কাপিণ্ড যদি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তাহলে আর রক্ষে নেই। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর প্রাণ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে ১০০ কিলোমিটার ব্যাসের উল্কাপিণ্ডকে এখানে পড়তে হবে। আশার কথা হলো, এত বড় দৈর্ঘ্যের উল্কাপিণ্ডের সংখ্যা মহাকাশে কেবল পাঁচ শতাংশ। কিন্তু সেগুলোর একটিও যদি পৃথিবীকে একবার ভ্রমণ করার ইচ্ছা পোষণ করে, তাহলে আর পৃথিবীবাসীকে দেখতে হবে না।
সমুদ্র
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বা কমের সাথে পৃথিবীর প্রাণ বিনষ্টের সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি দীর্ঘকালীন বাড়তে থাকে, তাহলে তা-তে পৃথিবীবাসীর বিলুপ্তির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ যদি ক্রমশ নামতে থাকতে, তাহলে অনেক সামুদ্রিক প্রাণ ধ্বংস হবে যা পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে মানবজাতির ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করবে।
আগ্নেয়গিরি
এর আগের অনেকগুলো গণবিলুপ্তির ঘটনায় আগ্নেয়গিরিরর ভূমিকা ছিল। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সালফার অক্সাইড, ধুলা, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি সরাসরি খাদ্যশৃঙ্খলকে নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে।
অন্যান্য
এগুলো ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতা পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে। এছাড়া নিউক্লিয়ার যুদ্ধের হুমকি তো রয়েছেই। আবার এমন কোনো ঘটনার কারণেও পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে যা আমরা এখনো অনুধাবন করতে পারছি না।
থটকো অবলম্বনে।