অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অনিশ্চিত ফেদেরার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা নিয়ে এখনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না রজার ফেদেরার। তবে আগামী বছরই কোন এক সময় তিনি কোর্টে ফিরে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফেদেরারের কোচ ইভান লুবিসিচ।
২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী ফেদেরার জুলাইয়ে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেবার পর হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কারনে আর কোর্টে নামতে পারেননি। জানুয়ারিতে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফেদেরারের ফেরার আশা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বের সাবেক তিন নম্বর খেলোয়াড় লুবিসিচ বলেছেন, এখনো এ ব্যপারে কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না।
এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন। সে এখনো পুনর্বাসনে আছে। আমি তাকে যতটুকু চিনি তাকে শতভাগ ফিট না হওয়া পর্যন্ত কোর্টে নামবে না। কারন যেকোন টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের জন্যই ফেদেরার খেলতে নামে। সে কারনেই আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার খেলার কোন সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে তাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে, কারন এখন তার বয়স ৪০। সব বিষয়ে তাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। অন্যান্যদের মত তার সুস্থতার মাত্রাও এত দ্রুত হবেনা।
নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদালের সাথে সর্বকালের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন সুইস সেনসেশন ফেদেরার। মেলবোর্ন পার্কে তাই এই তিনজনের অংশগ্রহনই আশা করছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজকরা।
স্প্যানিশ তারকা নাদালেরও ইনজুরি শঙ্কা রয়েছে। যদিও মেলবোর্নে খেলার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। এদিকে টেনিস অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্টের স্বাস্থ্য প্রোটোকল প্রকাশ না করা পর্যন্ত সেখানে খেলার ব্যপারে নিশ্চিত করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের একন নম্বর তারকা জকোভিচ।
এখনো কোভিড-১৯ এক টিকা নেননি সার্বিয়ান জকোভিচ। যে কারনে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান আইনানুযায়ী তার সেখানে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার জানিয়ে দিয়েছে ভ্যাকসিন না নেয়া খেলোয়াড়দের অবশ্যই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
ভিক্টোরিয়ান সরকার অবশ্য এই আইন শিথীলের অনুরোধ জানিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। যদিও এ সম্পর্কে ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যান এ্যান্ড্রু স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন তারা ভ্যাকসিন না নেয়া খেলোয়াড়দের ব্যপারে কোন রকম ছাড় দিবে না। টেনিস অস্ট্রেলিয়া যদিও বারবার একটি কথাই বলছে, তারা এ ব্যপারে সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।