অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে এক ব্যক্তির কারদণ্ড, নিজেকে সাবেক বুয়েট শিক্ষার্থী দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১১:১৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২১ রোববার   আপডেট: ১১:২৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২১ রোববার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে গিয়ে আটক হওয়া এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ব্যক্তিতে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় বি ইউনিটভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পঞ্চম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তোহিদুল হাসান শিপন (২৮) নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক তোহিদুল নিজেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তোহিদুল জানান, তার বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়ায়। দুই বছর আগে বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং উদ্ভাসে ভর্তি পরীক্ষার্থী নাজমুল হকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তার বদলি হিসেবে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার চুক্তি করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার বিকেল সোয়া তিনটায় বি ইউনিটের পঞ্চম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনেলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তোহিদুল হাসান শিপন। পরীক্ষা চলাকালে প্রবেশপত্রের ছবির সাথে তোহিদুল হাসানের চেহারার মিল না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। পরে তাকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চেহারার সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির কোনো মিল না থাকায় হলের দায়িত্বরত শিক্ষক আমাদের জানান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শরণাপন্ন হলে তার সাত দিনের কারাদণ্ড হয়।

এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার ডি ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে ৫ জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো বুধবার কিন্ত তারা আগেরদিন মঙ্গলবার পরীক্ষা দিতে যান।

আর একজনের পরীক্ষা ছিলো মঙ্গলবার কিন্তু তিনি পরদিন বুধবার পরীক্ষা দিতে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, তাদের মধ্যে কেউ ভুল করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন আবার কেউ জেনেশুনে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।