৪৭’র স্বাধীনতা ভিক্ষায় পাওয়া, কঙ্গনার মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড়
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার আপডেট: ০৭:০৬ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার
কঙ্গনা রানাউত
বেপরোয়া এবং বেফাঁস মন্তব্যের জন্য বলিউড অভিনেত্রী ক্ঙ্গনা রানাউত বহুবার আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন। একই কাণ্ড ঘটিয়ে আবারও আলোচনায় এই অভিনেত্রী। তবে এবারের বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর। ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেছেন, ১৯৪৭ সালে যা এসেছিল তা ছিল ভিক্ষা। ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে।
২০১৪ সালে স্বাধীন হয়েছে বলতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা মোদীর শাসনামলকে ইঙ্গিত করেছেন। ২০১৪ সালে ভারতের শাসন ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি।
এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসে উঠেছে ভারতের বিরোধী দলগুলো এবং সাধারন মানুষ। ভারতের বিভিন্ন স্থানে কঙ্গনার কশপুত্তলিকা দাহ হচ্ছে। দাবি উঠেছে সম্প্রতি পাওয়া পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ারও।
অনেকে বলছেন, প্রচার পাওয়ার লোভে বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রী আগেও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এবারের এই মন্তব্য প্রকৃত পক্ষে দেশদ্রোহের সামিল।
কঙ্গনার ওই মন্তব্য নিয়ে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন মুম্বাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রীতির দাবি, উস্কানিমূলক ও দেশবিরোধী মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫, এবং ১২৪এ ধারায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
সিনিয়র কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা টুইটের মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করেছেন কঙ্গনার। তিনি লেখেন, ‘কঙ্গনার এ ধরনের বিবৃতি মহাত্মা গান্ধী, নেহেরু ও সর্দার প্যাটেলের নেতৃত্বে পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহসীকতাকে আঘাত করেছে, শুধু তাই নয়, সর্দার ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ এবং এঁদের মতো আরও সাহসী বিপ্লবীদের আত্মত্যাগকেও তুচ্ছ করেছেন তিনি।' আনন্দ শর্মা আরও বলেন, ‘এই অভিনেত্রীকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার আগে মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন করা উচিত যাতে এই ধরনের ব্যক্তিরা দেশ এবং এর বীরদের অসম্মান না করেন।'
সব মিলিয়ে এবার বেশ বেকায়দায়ই পড়ে যাচ্ছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রজু করার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।