অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

উইন্ডোজ ১১ হালনাগাদ করবেন কিনা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছেন? পড়ুন লেখাটি

সাই-টেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার  

২০২১ সালের অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে সমর্থনযোগ্য ডিভাইসসমূহে উইন্ডোজ ১১ হালনাগাদ হওয়া শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালে উইন্ডোজ ১০-এর জন্য নিরাপত্তা হালনাগাদ সেবা বন্ধ করে দেবে। অনেকেই এখন ঠিক করতে পারছেন না উইন্ডোজ ১০ থেকে উইন্ডোজ ১১-এ নিজেদের ডিভাইসসমূহ হালনাগাদ করবেন কিনা। আবার অনেকের কম্পিউটারে সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট পূর্ণ না করার কারণে উইন্ডোজ ১১ উপভোগ করা যাবে না। তার মানে কি ২০২৫-এর পর ওই কম্পিউটারগুলো ফেলে দিতে হবে? আসুন ঝেড়ে ফেলা যাক সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব।

উইন্ডোজ ১০ সাপোর্ট
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০-এর জন্য আর কোনো সিকিউরিটি ও ফিচার আপডেট দেবে না। তার মানে এই নয় যে, সেদিনের পর থেকে আপনার কম্পিউটার আর কাজ করবে না। আপনি তারপরও উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনটা এখনো অনেক মানুষ উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করে যাচ্ছে।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তার দিকটি নিজে দেখভাল করতে হবে। যেহেতু উইন্ডোজ সেটা আর দেবে না, তাই আপনাকে সবসময় থার্ড পার্টি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলে তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।

তখন চাইলে আপনি আপনার কম্পিউটারে থাকা অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট এবং সফটওয়্যার আনইনস্টল করে ফেলতে পারেন। এতে করে কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরেকটু হলেও কমবে। এর বাইরে আপনি নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ও ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১১ হালনাগাদ
আগে দেখতে হবে আপনার পিসিতে উইন্ডোজ ১১ হালনাগাদ করা যাবে কিনা। আপনি যদি আপনার কম্পিউটার সম্প্রতি কিনে থাকেন তাহলে উইন্ডোজ ১১ অবশ্যই হালনাগাদ হওয়ার কথা। তবে কিছুটা পুরনো কম্পিউটারগুলোতে এটি না চলারই সম্ভাবনা বেশি।

মাইক্রোসফট-এর পিসি হেলথ চেক অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার কম্পিউটারে নতুন উইন্ডোজ চলবে কিনা তা জানতে পারবেন।
দুই উইন্ডোজ-এর পার্থক্য

উইন্ডোজ ১১-এর ইউজার ইন্টারফেইস সম্ভবত এযাবৎকালের সবচেয়ে চমৎকার ইন্টারফেস হতে যাচ্ছে। এটি দেখলে প্রথমে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের মতো মনে হতে পারে। ঝকঝকে, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, ও অনাড়ম্বর এ ডিজাইন উইন্ডোজ ১০-এর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উইন্ডোজ ১১-এ প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া এই ভার্সনে মাল্টিটাস্কিং করার হ্যাপা অনেকাংশেই লাঘব হবে।

সব দিক বিবেচনা করে এবার আপনাকেই ঠিক করতে হবে আপনার কি উইন্ডোজ ১১-এ হালনাগাদ করার প্রয়োজন আছে, নাকি উইন্ডোজ ১০-এ থাকলেই আপনার কম্পিউটার আরও ভালো সেবা প্রদান করবে।