অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ২৩ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ১১:৫২ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিতে বাণিজ্যে ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৩ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী

সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিতে বাণিজ্যে ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৩ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বাণিজ্য ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে ১১টা পর্যন্ত। 

সাতটি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র সাতটি হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

পরীক্ষা কমিটির দেওয়া তথ্য মতে, বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তির পরীক্ষার জন্য এ বছর আবেদন পড়ে ২৩ হাজার ৭০০টি। বিপরীতে সাতটি কলেজে বাণিজ্য ইউনিটের বিভাগগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩১০টি। 

এর মধ্যে ঢাকা কলেজে আসন সংখ্যা ৬০০টি, ইডেন মহিলা কলেজে ১ হাজার ৫৫টি, সরকারি তিতুমীর কলেজে আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৫টি, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে আসন সংখ্যা ৪০০টি, কবি নজরুল সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা ৭০০টি, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে আসন সংখ্যা ১৩০টি, সরকারি বাঙলা কলেজে আসন সংখ্যা ৯৬০টি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পরীক্ষা নিতে কেন্দ্রগুলোতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে তিন হাজারের উপর পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে নেওয়াও হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (৬ নভেম্বর) সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ নভেম্বর (সোমবার) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কোন ইউনিটে আবেদন কত

এবারের সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ৯৫ হাজার ৬২২টি। এরমধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটে ৪১ হাজার ৯৪ জন, বাণিজ্য ইউনিটে ২৩ হাজার ৭০০ জন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ৩০ হাজার ৮২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

যেভাবে মূল্যায়ন হবে

১২০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের অর্জিত মেধা স্কোরের ক্রমানুসারে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এ জন্য মাধ্যমিক/ও লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ; উচ্চ মাধ্যমিক/এ লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল ভর্তি পরীক্ষায় ১০০তে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ দিয়ে ১২০ নম্বরের মধ্যে মেধাস্কোর নির্ণয় করা হবে। সে অনুযায়ী তৈরি করা হবে মেধাতালিকা।

মেধাস্কোরের ভিত্তিতে নির্ণয় করা মেধাক্রম অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা ও ফলাফল ভর্তি পরীক্ষার পর সাত দিনের মধ্যে ঢাবির ভর্তি ওয়েবসাইটে (http://collegeadmission.eis.du.ac.bd) প্রকাশ করা হবে। প্রার্থী এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানতে পারবেন।

মেধাতালিকা প্রকাশের পর নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে অনলাইনে কলেজ ও বিষয় পছন্দ করতে ফরম পূরণ করতে হবে। পরে শিক্ষার্থীর পছন্দ এবং ভর্তি পরীক্ষার মেধাক্রম ও ভর্তির যোগ্যতা অনুসারে বিভাগ বণ্টনের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসির মূল নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা রাখা হবে।