ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ০৫:২১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
ভাষাসংগ্রামী ও শহিদ বুদ্ধিজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি ।
এতে স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। একক বক্তৃতা প্রদান করেন জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত ভাষণে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে স্মরণ মানে বাঙালি জাতিসত্তা এবং আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো।
একক বক্তৃতায় আরমা দত্ত বলেন, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দেশ ও জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা আদায়ের দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
পাকিস্তানি শাসকরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে তাঁর পুত্রসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে যেন প্রতিশোধ গ্রহণ করে। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর দেহাবশেষ খুজে পাওয়া যায়নি, তবে গোটা বাংলাদেশেই শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত চিরকালের মতো মিশে আছেন। তিনি বলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে বৃহৎ পরিসরে, জাতীয় পর্যায়ে স্মরণ করতে না পারা জাতি হিসেবে আমাদের নিদারুণ ব্যর্থতা।
সভাপতির ভাষণে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাঙালির ভাষাযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। তিনি বুকের রক্ত দিয়ে জাতির প্রতি তাঁর অঙ্গীকার রক্ষা করে গেছেন। শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মতো উদয়-পথিকের পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র হিসেবে তার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে।