কক্সবাজারে ৬ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় আটক ৮
ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ৬ নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার। এর আগে শুক্রবার ভোরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জসিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার রাতভর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। তবে আটকদের পরিচয় তিনি তাৎক্ষণিক জানায়নি।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ নিহতের ঘটনায় উখিয়া থানায় এখনো মামলা হয়নি।
এপিবিএন অধিনায়ক আরও জানান, শুক্রবার মধ্য রাতে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে পুলিশ উক্ত ক্যাম্পে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কথা বলা হলেও পরে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ মাদ্রাসায় হামলার কথা নিশ্চিত করেন।
শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৪টার দিকে মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসায় অবস্থানরত ৪ জন এফডিএমএন সদস্য মারা যায়। উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন মারা যায়।
এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা মদুতুল উম্মা মাদ্রাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প এলাকায়ও একই সঙ্গে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।