অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শিশুর জন্য টিকা, স্কুলসহ ৬ অগ্রাধিকারের কথা বললেন রাবাব ফাতিমা

প্রকাশিত: ০১:৩৩ এএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৮:২৭ পিএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

শিশুর জন্য টিকাদান, স্কুল চালু, ডিজিটাল সুবিধাসহ ৬ অগ্রাধিকারের কথা বললেন রাবাব ফাতিমা। কোভিড -১৯ মহামারিকালে শিশুদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের সাধারণ অগ্রাধিকারগুলো হচ্ছে-

- টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা,
- নিরাপদভাবে স্কুলসমূহ পুনরায় চালু করা,
- শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা ও সংযোগ নিশ্চিত করা,
- নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করা,
- উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া এবং
- শিশুদের মনো-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি তৈরি করা

বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

'ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ বান্ধব সমাজ বিনির্মাণে সদস্য দেশের সরকারসমূহকে সহায়তা করতে অবশ্যই ইউনিসেফকে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে আর এই প্রচেষ্টাসমূহে উদ্ভাবন, দক্ষতা ও অর্থের মূল্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে,' বলেন রাবাব ফাতিমা।

০২ জুলাই, বৃহস্পতিবার, ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের চার দিন ব্যাপী বার্ষিক অধিবেশনের শেষ দিনে বোর্ড সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে নিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতামূলক সিদ্ধান্তগুলো সর্বসম্মতিক্রমে এ সভায় গৃহীত হয়।

কোভিড -১৯ জনিত কারণে শিশু এবং তাদের পরিবারগুলো বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী শক্তিশালী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকারসমূহের প্রচেষ্টায় ইউনিসেফ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় সরকারগুলোর কাজে আরও পরিপূরক ভূমিকা রাখতে ও সহায়তায় এগিয়ে আসতে ইউনিসেফকে আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

সমাপনী অধিবেশনে অন্যান্যর মাঝে বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফ গ্লোবাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নোমা ওয়েন্স-ইবি এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা এইচ ফোর।

ইউনিসেফের কর্মীবাহিনীকে সংগঠনটির মেরুদণ্ড হিসাবে উল্লেখ করে হেনরিটা ফোর বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিশু ও যুবদের সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্কীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।