মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৮১
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার
পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জেতার বিকল্প নেই। এমন ম্যাচেই কিনা দ্বিতীয় বলেই উইকেট বিলিয়ে আসেন নাঈম শেখ। তবে পরিস্থিতি সামলে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে টাইগাররা। যার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতার পর সাকিব আল হাসানের ব্যাট হেসেছে ওমানের বিপক্ষে। তবে স্বাগতিকদের দুর্দান্ত থ্রোতে ফিফটি বঞ্চিত হন এই অলরাউন্ডার। আর আজ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ফিরেছেন দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে।
নাঈম শেখ ফেরার পর দলের হাল ধরেন সাকিব। প্রথমে দেখেশুনে খেললেও সময়ের সাথে সাথে বাড়িয়েছেন ব্যাটের গতি। ৩৬ বলে তুলে ফেলেন ৪৬ রান। যার মধ্যে ছিল তিন ছক্কা।
ছক্কার সংখ্যা আরও একটি বাড়াতে গিয়ে মিড উইকেট অঞ্চলে চার্লস আমিনির দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন সাকিব।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন তারচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। মাত্র ২৭ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় অর্ধশতক আদায় করে নেন কাপ্তান। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৫০ রান।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন নাঈম শেখ। ম্যাচের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পিছনে। কিন্তু উইকেটরক্ষক থেকে কিছুটা সামনে পড়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যান নাঈম শেখ। কিন্তু দেখেশুনে না খেলে পরের বলেও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কাবুয়া মোরেয়ার করা দ্বিতীয় বলটি ছিল নাঈম শেখের বাঁ পায়ে। বলটি বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে লং অন দিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সেসে বুয়ের হাতে।
না্ঈম ফিরলেও দলের হাল ধরেন লিটন ও সাকিব। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৪৫ রান। তার কিছুক্ষণ পরই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন লিটন।
অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালার বলেই ক্যাচ তুলে দেন লিটন। অনেকটাই দৌড়ে এসে ডিপ উইকেটে ক্যাচটি নেন সেসে বাউ। আউট হওয়ার আগে লিটনের সংগ্রহ ২৩ বলে ২৯ রান।
মুশফিকুর রহিমের সুইপ করার প্রবণতা সব প্রতিপক্ষরই জানা। তারজন্যই লেগ স্কয়ার লেগে হিরি হিরিকে ফিল্ডিংয়ে রাখে পাপুয়া নিউগিনি। আর সিমন আতাই এর বলে সেখানেই ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৫ পাঁচ রান।
সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর বাকি কাজটা সারেন আফিফ হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২১ রান। শেষ দিকে ছোট্ট একটি ক্যামিও খেলে দলের রান ১৮১ তে নিয়ে যান সাইফুদ্দিন। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১৯ রান।