বসলো ৩৪তম স্প্যান
দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ১০০ মিটার স্বপ্নের পদ্মাসেতুর
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০ রোববার আপডেট: ১২:১৩ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার
পদ্মাসেতুতে বসানো হলো ৩৪তম স্প্যান। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে মূল পদ্মায় ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ১০০মিটার। সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হতে বাকি রইল আর মাত্র ৭টি স্প্যান।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল আটটা থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়। পরে বেলা সোয়া এগারোটার দিকে কাজ শেষ হয়। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে স্প্যান বসানোর চেষ্টা চললেও বৈরী আবহাওয়া ও নাব্যতা সংকটে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
৩৩তম স্প্যান বসানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৪তমটি বসানো হলো। গত ১৯ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ৩৩ তম স্প্যান। এর ৮ দিন আগে গত ১০ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের মূল পদ্মার মাঝে থাকা ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৩২তমটি। এ মাসে আরও একটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টক জেটি থেকে ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ স্প্যানটি ক্রেন দিয়ে পাজরে আটকিয়ে খুঁটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির কাছে আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, বাকী থাকলো আরও ৭টি স্প্যান। এগুলো -১, ২, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ খুঁটির ওপর বসানো হবে। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। সর্বশেষ স্প্যানটি এখন চুড়ান্ত রংয়ের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে সব মিলিয়ে ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে ৪০টি খুঁটি থাকবে পানিতে আর ২টি ডাঙায়। ডাঙায় থাকা দু’টি খুঁটি সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সেতুকে যুক্ত করবে। ৬টি মডিউলে বিভক্ত থাকবে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট বা ঝুলন্ত পথ ও জাজিরা প্রান্তে থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার।
বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মা সেতুর পুরোটাই নির্মিত হবে স্টিল ও কংক্রিট স্টাকচারে। সেতুর ওপরে থাকবে কংক্রিটিং ঢালাইয়ের চাল লেনের মহাসড়ক আর তার নিচ দিয়ে যাবে রেললাইন।