চবির ১২ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার
ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট, চবি
প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
কয়েক দফা সংঘর্ষের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের ছয়জন করে মোট ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে দুজনের এক বছর এবং বাকি ১০ জনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের (১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম নায়েম, পরিসংখ্যান বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আকিব জাবেদ, ইতিহাস বিভাগের (১৫-১৬) শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয়, অর্থনীতি বিভাগের (১১-১২) শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ।
এদের মধ্যে আশরাফুল আলমের বহিষ্কারের মেয়াদ এক বছর ও বাকিদের ছয় মাস। এরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। যার নেতৃতে্ আছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, আইন অনুষদের (১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের মির্জা কবির সাদাফ, একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের অহিদুজামান সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের আরিফুল ইসলাম, আইন অনুষদের (১৭-১৮) শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, আরবি বিভাগে (১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম, কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের (১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন।
এদের মধ্যে মির্জা কবির সাদাফের সাজা এক বছর এবং বাকিদের ছয় মাস করে সাজা দিয়েছে চবি প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাদের বহিষ্কারের মেয়াদ আজ থেকে কার্যকর হবে। এ সময় তারা হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ নিয়ে রাতেই সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এ ঘটনার জেরে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কর্মী আরাফাতকে জিরো পয়েন্টে একা পেয়ে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এ সময় জিরো পয়েন্টে কয়েকজন সবজি বিক্রেতাও আহত হন। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী নাদিম হায়দারকে শাহজালাল হলের সামনে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা। পরবর্তীতে নাদিম হায়দারকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনকে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা।
একই ঘটনার জেরে রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে শাহ আমানত হলের সামনে সাবেক সহসভাপতি আল আমিন রিমনকে একা পেয়ে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।