মন্ত্রী ছাড়া রাজাকে বাঁচানো কঠিন, দাবায় হেরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শনিবার ‘শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড চেজ টুর্নামেন্টে ২০২১’আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উদ্বোধন শেষে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ হয়। তাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নেন গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
খেলা শুরুর দেড় মিনিটের মধ্যেই মন্ত্রী খোয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর হাতি, ঘোড়া, নৌকাসহ বেশ কিছু সৈন্য হারিয়ে রাজাকে রক্ষায় বিপাকে পড়ে যান তিনি। খেলার ১২ মিনিটের মধ্যেই আন্তর্জাতিক দাবাড়ু নিয়াজ মোর্শেদের চালে আটকে যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজা। সব শেষ মন্ত্রী ছাড়া রাজাকে রক্ষা করা যে কঠিন, সেটি বলে হাসতে হাসতে খেলা শেষ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই সময় নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও আপনি বেশ ভালো খেলেছেন।’ পরে উপস্থিত সবাই মন্ত্রীকে উৎসাহ দেন।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দাবা বুদ্ধির খেলা, মজার খেলা। যারা এটা খেলতে পারে, তারা কিন্তু কৌশল নির্ণয়ে ভালো হয়। এটা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের যারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছেন, আমি তাদের অনুরোধ করব।
নিজের দাবা খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন দাবা খেলতাম। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আমি শেষ দাবা খেলেছি। ১৯৭১ সালে আমরা যখন শহর থেকে পালিয়ে গ্রামে যাই, আশ্রয় নিই বিভিন্ন জায়গায়, তখন আমরা সময় কাটাতাম দাবা খেলে।
‘আমার ধারণা যারা দাবা খেলে, তাদের আইকিউ (বুদ্ধিমত্তা) খুব শার্প। আমি শুনেছিলাম, দাবা চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভের নাকি আইকিউ ছিল ১৫০ প্লাস। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের পরেই নাকি তার অবস্থান। আইনস্টাইনের আইকিউ ছিল ২০৫।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা শুনেছি এই দাবা খেলা আমাদের এই ভারতবর্ষে সপ্তম শতাব্দীতে শুরু হয়। তারপর আরব-পার্সিরা যখন এখানে আসে, তারা খেলাটি শেখে। এরপর দাবা খেলা চলে যায় আরব দেশে। সেখান থেকে চলে যায় দক্ষিণ ইউরোপে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্ভবত ১৫০০ বা ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু হয়। এরপর ১৮৮৬ সালে প্রথম এটি গেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।’