জলবায়ু পরিবর্তন: বাড়ছে সংক্রামক রোগ, ঝুঁকিতে মানসিক স্বাস্থ্য
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২১ রোববার
বিশ্ব ব্যাংকের জলবায়ু সংক্রান্ত রিপোর্টে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে সঙ্গে পানিবাহিত, মশাবাহিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভবিষ্যত বিবেচনায় বলা হয়েছে, এমন শারিরীক ও মানসিক রোগ আর বেশি বাড়বে সামনের দিনগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত সে রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বয়স্করা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরের বাসিন্দারা।
গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। দেশে গ্রীষ্মকাল আরও লম্বা হয়েছে এবং গরম বাড়ছে। শীতকালের আগের মতো শীত থাকে না এবং ফেব্রুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশবীদ ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করা হচ্ছে। যখন তাপমাত্র বেড়ে যায় তখন পানি ও বায়ুবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার অনুকূল পরিবেশ পায়।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুরে মতো রোগ পানিতেই জন্ম নেয় এবং তাপমাত্রা বাড়লে সেটা বাড়তে থাকে। বেশি মাত্রায় ক্ষতির পদার্থ ব্যবহার, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও মাটির ক্ষতি করার কারণে আবহাওয়ার জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যায় এবং তা প্রকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শাহরিয়ার হোসেন আরও বলেন, শারিরীক রোগ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে এবং ব্যবহারে সরাসরি প্রভাব ফেলে। গরম আবহাওয়া ও তাপমাত্রার ভিন্নতা মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে এবং যারা মানসিক রোগী তাদের রোগ আরও বেড়ে যায়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রভাবের পেছনে প্রতিকূল আবহাওয়াই দায়ী। ডেঙ্গুতে মৃতদের ৭৭ শতাংশই রাজধানীতে হয়েছে। সে বছর ফেব্রুয়ারীতে সাধারণ সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল্ এবং মার্চ-জুলাই পর্যন্ত সাধারণ সময়ের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি ছিল।
তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার এই ভিন্নতার কারণে সেবছর বিভিন্ন সংক্রামক রোগ বেড়ে যায়। এছাড়া শীতাকালে গরম থাকার কারণে মানুষের হতাশা বাড়ে।