অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দীর্ঘ দেড় বছর পর অবশেষে খুলছে ঢাবির হল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:২২ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০১:০০ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

তিমধ্যে হলগুলোতে গণরুম–সংস্কৃতির অবসানের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

তিমধ্যে হলগুলোতে গণরুম–সংস্কৃতির অবসানের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর রুদ্ধ দুয়ার খুলছে মঙ্গলবার। হলে উঠতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল আটটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হলে উঠতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

**৫ অক্টোবরই খুলছে ঢাবি’র হল

**৫ অক্টোবর ঢাবির হল খোলার সুপারিশ

**ঢাবির হল খুলে দেওয়ার অনুমোদন দিলো একাডেমিক কাউন্সিল

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৫ অক্টোবর সকাল আটটা থেকে হলে তোলা হবে।

তবে পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের বাসাভাড়া না দেওয়ার যুক্তি দিয়ে এরই মধ্যে হলে ওঠা শুরু করে দিয়েছেন এত দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকা শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ। গত শুক্রবার অমর একুশে হলের তালা ভেঙে হলে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। 

মানতে হবে যেসব শর্ত-

  • অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকতে হবে
  • দেখাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র
  • কক্ষের বাইরে গেলে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হবে।
  • স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য সাবান দিয়ে হাতধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। 
  • পরস্পরের কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
  • কোনো কক্ষের মেঝেতে শোয়া যাবে না। এক বিছানায় একাধিক ব্যক্তি শোয়া যাবে না। কেবল আবাসিক ও ধৈতাবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে।
  • কোনো বহিরাগত বা বাহির থেকে আসা কাউকে কক্ষে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনসাপেক্ষে কক্ষে ও কক্ষের বাহিরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শুরু এবং কক্ষের প্রয়োজনীয় আশপাশ সবসময় নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রে হল প্রশাসন সহযোগিতা প্রদান করবে।
  • হল ডাইনিং,  ক্যান্টিন,  মেস,  দোকান,  সেলুন,  টিভি রুম,  অডিটোরিয়াম,  অতিথিকক্ষ, পাঠাগার,  মসজিদ ও উপাসনালয়ে ভিড় করা যাবে না। এসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  • ডাইনিংয়ে পালাক্রমে খেতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অতিথিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
  • বেড়ানো ও ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সভা-সমাবেশ, রেস্তোরাঁ, পার্টি ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।
     

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি এসব শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন হলে অবস্থানকারীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

এরই মধ্যে হলগুলোতে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। হলগুলোর দেয়াল চুনকামের পাশাপাশি শেষ হয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজও। ইতিমধ্যে হলগুলোতে গণরুম–সংস্কৃতির অবসানের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন বাস্তবতার মধ্যে খোলা হচ্ছে হলগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের যেসব শিক্ষার্থী করোনার অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নীতিমালা অনুসরণ করে টিকা নেওয়ার কার্ড বা সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে  মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন।