অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাবির ভর্তি যুদ্ধ শুরু, আসনপ্রতি লড়ছেন ৩১ জন

রিপন চন্দ্র রায়, রাবি

প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ৪ অক্টোবর ২০২১ সোমবার   আপডেট: ১০:৩০ এএম, ৪ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা মধ্য দিয়ে শুরু হলো এ ভর্তি যুদ্ধ। শেষ হবে আগামী ৬ অক্টোবর। এই ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন তিন শিফটে সব ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সাড়ে ১০টায়। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়। তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা বেলা ৩ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ টায়।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এবং আগামী বুধবার ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের তথ্যমতে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৩ ইউনিটে ‘বিশেষ’ কোটা বাদে ৪ হাজার ১৭৩টি আসনের বিপরীতে অংশ নেবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জন ভর্তিচ্ছু। তাদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৪৩ হাজার ৫৫৮ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৯৫ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪৪ হাজার ১৯৪ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই হিসাবে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়াই করবে ৩১ জন ভর্তিচ্ছু।

এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি জালিয়াতি ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।

অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক আছে কি না তা পুনরায় চেক দিয়ে নিচ্ছি। এবার ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়ে আমরা খুবই সতর্ক। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের ক্যাম্পাসে নজরদারি বাড়াতে বলেছি। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেব। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।’ 

উল্লেখ্য, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি-এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ’র ওপর কোনো নম্বর থাকছে না। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে, সময় এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান এক দশমিক ২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের দশমিক ২০ করে নম্বর কাটা হবে। অর্থাৎ, ৫টি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০।