১৬ বছর পর রায় ঘোষণা
চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলা: জঙ্গি বোমারু মিজানের মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২১ রোববার
২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এদিন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত
চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ চেকপোস্টে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রায়ে আরেক জঙ্গির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডওদেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির নাম জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান। বজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে জাবেদ ইকবালকে। এছাড়া তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
রবিবার (৩ অক্টোবর) রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নানা আইনিপ্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর চট্টগ্রাম সন্ত্রাসদমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় জাবেদকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান পলাতক রয়েছেন।
নানা প্রক্রিয়ার পর গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এদিন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। মামলায় আদালতে ৩২ জন সাক্ষ্য দেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন পলাতক এবং একজন কারাগারে রয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেক পোস্টের সামনে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০০৬ সালের ১৮ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্ত চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ও বোমা তৈরির কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় জেএমবির সাবেক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সাবেক সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যনাল গঠন করা হলে মামলাটি ওই ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। একই বছরের ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল মামলাটি গ্রহণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।