প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন: চলছে ৭৫ লাখ বাড়তি টিকার ক্যাম্পেইন
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে করোনাভাইরাসের ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া চলছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ এবং নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া হবে আরও পাঁচ লাখ টিকা।
আগের নিয়ম অনুসারে ২৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এ টিকা পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে টিকাগ্রহীতার আগে নিবন্ধন করা থাকতে হবে এবং মোবাইল ফোনে মেসেজ পেতে হবে। টিকা নেওয়ার জন্য সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
টিকা দেওয়া হবে ৮০ লাখ
বিশেষ ক্যাম্পেইনে পাচ্ছেন ৭৫ লাখ
নিয়মিক টিকাদান কর্মসূচিতে ৫ লাখ
টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও প্রতিবন্ধীরা। গতকালই কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা সরঞ্জাম পৌঁছে যায়। সব প্রস্তুতিও সেরে রাখে কর্তৃপক্ষ্য।
টিকা নিচ্ছে ২৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা
অগ্রাধিকারে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও প্রতিবন্ধীর
নিবন্ধন ও মোবাইলে এসএমএস নিয়ে কেন্দ্রে যাচ্ছেন টিকা গ্রহীতারা
জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সঙ্গে রাখতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, এ গণটিকাদান কর্মসূচিতে শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে।
এই ক্যাম্পেইন দেশের ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে হবে। একদিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এই টিকা ক্যাম্পেইনে কাজ করবেন। একইসঙ্গে ৮০ লাখ মানুষ টিকা পাবেন।
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নের কোনও একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত আছে।
মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্বে যখন করোনা মহামারি শুরু হলো, যখন অনেক দেশই টিকার অনুমোদন দেয়নি, তখন তিনি টিকা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়ে রেখেছিলেন। এটা তার দূরদর্শিতার পরিচায়ক।
এর আগে গেল ৭ আগস্ট থেকে প্রথম ধাপে গণটিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। সেসময় পাঁচ দিনের জন্য চলে এ কার্যক্রম। তবে টিকার সংকটের কারণে সেই কার্যক্রম আর চালু রাখতে পারেনি সরকার। সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রত্যাশিত টিকা পেলে গণটিকা কর্মসূচি নিয়ে ভাবা হবে।
দেশে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকাদানের সিংহভাগই চলছে সিনোফার্ম দিয়ে।