বাংলাদেশের আনন্দালয়ে ওবেল জয় জার্মান স্থপতির
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার
বাংলাদেশে তৈরি আনন্দালয় প্রকল্পের জন্য জার্মান স্থপতি আনা হেরিংগার ওবেল অ্যাওয়ার্ড ২০২০ জিতেছেন । তার হাতে বাঁশ ও মাটিতে তৈরি থেরাপি সেন্টার ও টেক্সটাইল ওয়ার্কশপের জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি।
২০১৯ সালে হেনরিক ফ্রোড ওবেল ফাউন্ডেশন বিশ্বে স্থাপত্য কর্মে শ্রেষ্ঠদের জন্য এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।
আনন্দালয় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বাঁশ ও মাটিতে নির্মিত একটি থেরাপি কেন্দ্র যেখানে প্রতিবন্দ্ধী মানুষের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভবনটির নিচ তলায় এই চিকিৎসাকেন্দ্র, আর উপরের তলায় একটি বস্ত্রশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে নারীরা প্রশিক্ষণ নেন।
ওবেল অ্যাওয়ার্ড’র জুরি বোর্ডের প্রধান বিশ্বখ্যাত ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট মার্থা সোয়ার্চ আনন্দালয় সম্পর্কে বলেন, “এই ভবনে গেলে আপনি অনুভব করবেন সংস্কৃতি, মানুষ ও মাতৃকার প্রতি সত্যিকারের সম্মান দেখানো হয়েছে এর নির্মাণশৈলীতে। এটি একটি অনন্য প্রকল্প।” এতে আনা হেরিংগার-
- - সকল মূ্ল্যবোধের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন,
- - এই ভবন বেশ টেকসই,
- - এর উপকরণ স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত,
- - সাধারণ মানুষের রয়েছে এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা,
- - নারী ও শিশুর জন্য সুযোগ তৈরি এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল রুদ্রপুর গ্রামে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্র ও ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই আনন্দালয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দীপশিখা’র জন্য এটি তৈরি করেছেন আনা হেরিংগার। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যয়াম করার জন্য উপযোগী করে তৈরি এর ভেতরটা।
নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, বালু ও বাঁশ, দড়ি, খড়, কাঠ, টিন, রড, ইট ও সিমেন্ট। দেয়ালগুলো মাটি ও খড় মেশানো কাঁদায় তৈরি। মেঝেতে পামওয়েল ও সাবানের পেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা মেঝেকে করেছে ওয়াটারপ্রুফ। এই ভবনের ভেতরটায় তীব্র গরম কিংবা শীত অনুভূত হয়না। আলো-বাতাস পর্যাপ্ত রয়েছে।
পুরো ভবনটিই পরিবেশবান্ধব। ভেতরের কামরাগুলোর সংযোগ, চলাচলের পথগুলো এমন করে তৈরি যাতে প্রতিবন্ধীদের চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়।