ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে ৫-জি: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার
এ পরিষেবা দিতে আড়াই শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে অপারেটরটি
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা (৫-জি) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। সম্ভাব্য তারিখ ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে অথবা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে। সরকারি মুঠোফোন অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে এই ৫-জি সেবা চালু করবে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ ৫-জি নিয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানিয়েছেন।
‘৫-জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক এই অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বছর টেলিটক ৫-জি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করবে। আগামী বছর তা সম্প্রসারণ করবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অন্য মুঠোফোন অপারেটরদের জন্য ৫-জি তরঙ্গ নিলাম করা হবে। ফলে আগামী বছর অন্যান্য অপারেটরও ৫-জি চালু করতে পারবে।
অবশ্য খুব দ্রুতই সারা দেশে ৫-জি ছড়িয়ে দেওয়া হবে, বিষয়টি তেমন নয় বলে জানান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৫-জি সেবা বেশি কাজে লাগবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায়। সেদিকেই নজর বেশি থাকবে।
পাঁচটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্পকারখানায় ৫-জি সেবা দেওয়ার জন্য বিটিসিএলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ফাইভ-জি নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ১০ জিবিপিএস গতিতে ৫-জি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই গতি ২০২৬ সাল নাগাদ ১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে।
জানা গেছে, এ পরিষেবা দিতে আড়াই শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে অপারেটরটি।বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে এ কথা জানা গেছে।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, গণভবন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থানা ও বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার গ্রাহক ফাইভজির আওতায় আসবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট (১০০ এমবিপিএস) গতির ইন্টারনেট সেবা পাবে তারা।
বাংলাদেশে এ প্রযুক্তি দেশব্যাপী চালুর আগে স্বল্প মাত্রায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা প্রয়োজন। এমন বাস্তবতায় রাষ্ট্রীয় মোবাইল কোম্পানি হিসেবে টেলিটক ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, রমনা ও শাহবাগের মতো কিছু এলাকায় সীমিত আকারে ২০০টি এজি বিটিএল স্থাপনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় টেলিটকের নেটওয়ার্কে বাণিজ্যিকভাবে পরীক্ষামূলক পাঁচটি প্রযুক্তি চালুকরণ’ নামে এই প্রকল্পে খরচ হবে ২৫৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ বছর শুরু হয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। টেলিটকের প্রকল্প প্রস্তাব পেয়ে তা যাচাই-বাছাই করছে পরিকল্পনা কমিশন।