অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি ইউজিসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ১২:৫১ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছে ইউজিসি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছে ইউজিসি

করোনায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস, পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে এর জন্য স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমতি লাগবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) মো. ওমর ফারুখের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও করোনার এক ডোজ টিকা অথবা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এই শর্তে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

অফিস আদেশে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে নিজ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস,পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে।

শর্তগুলো-
১. শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ ইতোমধ্যে কমপক্ষে এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে অথবা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য জাতীয় পরিচয় (NID) সহযোগে জাতীয় সুরক্ষা সেবা ওয়েব (https://surokkha.gov.bd/) অথবা surokkha app-এর মাধ্যমে নিবন্ধন করে থাকলে।

২. ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব শিক্ষার্থী, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ব্যবহার করে কমিশনের ওয়েবলিংক (https://univac.ugc.gov.bd)-এ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন করে থাকলে এবং পরবর্তীতে জাতীয় সুরক্ষা সেবা ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে থাকলে।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের বৈঠকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধন শেষে কিছু ব্যবস্থা নেয়া সাপেক্ষে যেকোনো দিন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।