উপস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীকে চাপ নয়: শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিয়ে চাপ না দিয়ে কেন সে উপস্থিত হয়নি, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিয়ে চাপ না দিয়ে কেন সে উপস্থিত হয়নি, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জোহরা কাজীর উদ্যোগে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিয়ে চাপ দেয়া যাবে না। দেখতে হবে সে কেন উপস্থিত হলো না। কোনোভাবেই জোর করা যাবে না। কারণ কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ না করতে পারলেও তার জন্য অনলাইন ও টিভিতে এখনো ক্লাস চালু আছে।’
করোনার উপসর্গ নিয়ে মানিকগঞ্জের স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি অবশ্যই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখছে। আমরা মানিকগঞ্জের যে তথ্যটি পেয়েছিলাম, সেখানকার সব শিক্ষার্থীর করোনা টেস্ট করা হয়েছে এবং সবার ফল নেগেটিভ এসেছে।’
গত ২২ সেপ্টেম্বর করোনা উপসর্গ নিয়ে মানিকগঞ্জের সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা (১৪) ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ছাড়া গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ফেরধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনা খানম করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন স্কুলের ওই শ্রেণি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে ওই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা এমন একটি বিষয় যেকোনো জায়গায় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংটা রাখছি।’
সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার পথে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি। কোথাও এমন কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করা হবে। তবে আশার কথা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেনি।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমরা অভিভাবকদেরও বলেছি। কোনো শিক্ষার্থীর বিন্দু পরিমাণ উপসর্গও যদি থাকে বা তার বাড়িতে কারও উপসর্গ থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাঠানো যাবে না।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।