কোচের উপর ‘নাখোশ’ মেসি, শেষ মুহুর্তের গোলে পিএসজির জয়
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার আপডেট: ১০:৫৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার
তৃতীয় ম্যাচে এসেও গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। কিন্তু অন্য দুই ম্যাচের চেয়ে ছিলেন সপ্রতিভ। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন বেশ কয়েকবার। তবে গোলরক্ষক আর গোলবারের বাধায় পাননি কাঙ্খিত গোলের দেখা। শেষ পর্যন্ত তাকে উঠিয়ে নিলে কোচের উপর একরকম রাগই দেখান এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী।
ঘরের মাঠে অভিষেকে মেসিকে ঠিক ফরোয়ার্ড লাইনে নামাননি পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। আক্রমণভাগে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে তো ছিলেনই, এদিন শুরুর একাদশে ছিলেন আনহেল ডি মারিয়াও। তাদের সঙ্গে মেসির বোঝাপড়াটাও এদিন ছিল চোখে পড়ার মতো।
ষষ্ঠ মিনিটে মেসি বক্সে ঢুকে শট করে বসেছিলেন, তবে জেসন ডেনায়ারেরের কল্যাণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় সফরকারী লিওঁ। ৩২ মিনিটে নেইমারের ব্যাকহিল থেকে আরও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি'অর বিজয়ী, এবার তার আর গোলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান লিওঁ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ।
৩০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন নেইমার, ফ্রি কিক পায় পিএসজি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি কিকে মানব দেয়ালকে পরাস্ত করার পাশাপাশি গোলরক্ষক লোপেজকেও হার মানান মেসি। কিন্তু সেই শট প্রতিহত হয় ক্রসবার ও পোস্টের সংযোগস্থলে। ফলে হাতছাড়া হয় সুবর্ণ সুযোগ।
৭৪ মিনিটে নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি, কিন্তু তার সে চেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এরপর। তখনই মেসিকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কোচ পচেত্তিনো।
কোচের এমন আচমকা সিদ্ধান্তের জন্য যেনো প্রস্তুত ছিলেন না মেসি। মাঠ ছাড়ার সময় হাকিমির সঙ্গে হাত মেলান ঠিকই, কিন্তু পচেত্তিনো হাত এগিয়ে দিলেও হাত মেলাননি মেসি। উল্টো কোচের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকান, যেনো জানতে চাইছিলেন কী কারণে তাকে ১৫ মিনিট আগেই মাঠ থেকে তুলে নেয়া হলো।
মেসির সেই মুহূর্তের ছবি-ভিডিও নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তাই ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয় পচেত্তিনোর কাছে। তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে, খানিক ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তার মতামত হলো, মাঠের যেকোনো বিষয়ে ভালো-মন্দ সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে কোচের। সেটিই তিনি করেছেন।
এদিকে ঘরের মাঠে মেসির অভিষেকে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা দলটি ৫৪ মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল হজম করে। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে তোকো একাম্বির পাস থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান লুকাস পাকেতা।
সেই এক গোল রক্ষার জন্য লিওঁ এরপর আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে যেন। তবে ম্যাচে ফিরতে পিএসজি খুব একটা সময় নেয়নি। প্রতিপক্ষ বক্সে নেইমারকে ফাউল করে বসেন মালো গুস্তো, পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা।
মেসির পর ৮২ মিনিটে ডি মারিয়াকেও তুলে নেন পচেত্তিনো। তার জায়গায় মাঠে নামান মাউরো ইকার্দিকে। কোচের আস্থার প্রতিদান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দেন ভালোভাবেই। ৯৪ মিনিটে এমবাপের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।