৫ অক্টোবর ঢাবির হল খোলার সুপারিশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:১৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০১:৫০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি
করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২৪ সেপ্টেম্বরের পরে যে কোনোও দিন খুলে যাবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
কমিটি চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে লাইব্রেরি এবং ৫ অক্টোবর থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ সুপারিশের কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার শর্তে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য হল এবং লাইব্রেরি খোলার সুপারিশ আমরা করেছি। তবে তাদের সবাইকে হল এবং লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে হলে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সনদ দেখাতে হবে।’
- প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সভা থেকে দুটি পরামর্শ ও সুপারিশ রাখা হয়েছে-
- একটি হলো অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমন্বয় করে বিষয়টি কার্যকর করা হবে।
- দ্বিতীয়টি হলো অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হবে।
তবে হল খুলে দেয়ায় সশরীরে ক্লাস শুরুর ইঙ্গিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসলে আমরা পরবর্তীতে এটির তারিখ জানাব।’
২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে স্কুল ও কলেজে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা এখনও আসেনি।
তবে সরকার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দিতে চায় দ্রুত এবং এ কারণে আগের একটি সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। এতদিন সরকারের অবস্থান ছিল, ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিকা দিয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হবে।
তবে টিকা প্রয়োগে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই অবস্থান থেকে সরে এসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, টিকার জন্য নিবন্ধন নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া যাবে। তিনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়েই টিকাকেন্দ্র করার পক্ষে তিনি।
মঙ্গলবার মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরের দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বৈঠকে বসে।