অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৫৪৩ দিন পর আপন ভুবনে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার   আপডেট: ১০:২০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে আজ যেন উৎসবের আমেজ। কোথাও শিক্ষার্থীদের বরণ করা হচ্ছে ঢাকঢোল পিটিয়ে আবার ঢাকা কলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের তো ক্লাসে ফেরানো হচ্ছে রীতিমত ফুল উপহার দিয়ে। এভাবেই ৫৪৩ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাকে স্বাগত জানাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

দীর্ঘ ১৮ মাস পর আজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে। মেডিকেল কলেজগুলো খুলবে আগামীকাল। চলমান করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির অবসান ঘটেছে আজ। অপেক্ষার পালা শেষে প্রাণহীন শিক্ষাঙ্গনে আবার প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে। 

দীর্ঘদিন পর সশরীরে ক্লাসে বসার আনন্দ দেখা যায় শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে। কর্তৃপক্ষও সমউচ্ছ্বাসে তাদের বরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে একে সবাইকে ঢোকানো হয়েছে শ্রেণিকক্ষে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

তবে দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও সহপাঠীদের সঙ্গে আগের সেই হইহুল্লোড় নেই। সামনের বেঞ্চ ধরা নিয়ে নেই হুড়োহুড়িও। শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে ছাত্রীরা দূরত্ব বজায় রেখে তারা স্কুলে প্রবেশ করছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ার শঙ্কায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কিশোলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি কলেজ ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল ঘুরে দেখা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে সকাল থেকেই ভিড় করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরু হওয়ার প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর সঙ্গেই এসেছেন অভিভাবকরাও। 

মূলত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে উদ্বিগ্নতার কথা জানান তারা। তবে সংশ্লিষ্ট স্কুল ও কলেজ প্রশাসন বলছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই ক্লাস শুরু করা হচ্ছে। আগে যে সব শ্রেণিকক্ষে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করত সেখানে এখন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখেই ছিল স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করে এবং বডি থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার পরই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল শিক্ষার্থীদের। 

অন্যদিকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না, তা পরিদর্শন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী রাজধানীর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।