স্কুল-কলেজে রুটিন যেভাবে করতে হবে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার আপডেট: ০৫:১২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস রুটিন তৈরির ১০ নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি
স্কুল ও কলেজে সময়সূচি তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা, বের হওয়া বা থাকার সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকার কথা বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ও বের হয়।
এ ধরনের আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করে ক্লাসের সময়সূচি প্রণয়নের জন্য বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে রুটিন তৈরির ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
রুটিন তৈরির ১০ নির্দেশনা-
১. ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রাতষ্ঠানে আসবে।
২. প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একদিন প্রতিষ্ঠানে আসবে।
৩. সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রুটিন তৈরি করবে।
৪. রুটিনের সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫. যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান ওই সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসগুলো সমন্বয় করে রুটিন করবে।
৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৭. রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ, প্রস্থান ও অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা না ঘটে।
৮. রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়।
৯. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
১০. প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে হবে।
১১. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে উল্লিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই ছুটি আর বাড়ছে না।
কিন্তু দীর্ঘ বন্ধের ফলে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে সশরীর পড়াশোনা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত শিখনফল অর্জন করতে পারেনি।
অ্যাসাইনমেন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হলেও তা শ্রেণিকক্ষের মতো কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণ করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এ ঘাটতি পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।