সিনহা হত্যা মামলা: প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিনের সাক্ষ্য
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। শুরুতে জবানবন্দি দেন মামলার ৮ নম্বর সাক্ষী হাফেজ মো. নুরুল আমিন।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
নুরুল আমিনের আগে আরও চারজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে শওকত হোসেন ও সাইফুল নামের আরও দুজনকে উপস্থিত রাখা হয়েছে।
আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, নুরুল আমিন ঘটনাস্থলের একেবারে নিকটবর্তী একটি মসজিদের ইমাম এবং তিনি ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএন তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হন।
সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলাটি করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রথমে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমেদ। পরবর্তীতে ১৪ আগস্ট সেই দায়িত্ব দেয়া হয় র্যাহব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামকে।
১৫ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম প্রথমবারের মতো শামলাপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দীর্ঘ চার মাস তদন্ত শেষে গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে।
চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।