নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে আগামী নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে। এবং পরীক্ষা নেয়া হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিলেও কতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘শুরুতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির একদিন করে ক্লাস নেয়া হবে, পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহের ছয়দিন ক্লাস হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে আগামী নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।’
- নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা।
- পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
- পরিস্থিতি ভালো থাকলে সব ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে
- শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কশিট (বাসার কাজ) নিয়মিত করানো হবে।
তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিলেও কতটি বিষয় পরীক্ষা নেয়া হবে সেটি পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে ৬টি বিষয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হতে পারে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে বিষয় কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হলে ডিসেম্বরে সব ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কশিট (বাসার কাজ) নিয়মিত করানো হবে।
দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০ শতাংশে নেমে আসায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্লাসে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে।
এর মধ্যে, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।