অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা নিষিদ্ধ করলো চীন

এডুকেশন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২১ সোমবার

ছয় ও সাত বছরের শিশুদের লিখিত পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চীনে ছয় বছর বয়স হলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি শুরু হয়। 

দেশটিতে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম বছর থেকে ১৮ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত লিখিক পরীক্ষা দেওয়ার বিধান ছিল।

কিন্তু চীনের শিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে চাপ শিক্ষার্থীদের "শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের" ক্ষতি করছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে: "পরীক্ষা স্কুল শিক্ষার একটি প্রয়োজনীয় অংশ .... কিন্তু কিছু স্কুলে অতিরিক্ত পরীক্ষার মতো সমস্যা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত বোঝা সৃষ্টি করে। এটি অবশ্যই সংশোধন করা উচিত।"

নতুন নিয়মে অন্য সব পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর কতটি টেস্ট বা চূড়ান্ত পরীক্ষা লিখিত নিতে পারবে সেটিও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। 

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় "প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কাগজ-ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। অন্যান্য গ্রেডের জন্য, স্কুল প্রতি সেমিস্টারে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা আয়োজন করতে পারে। জুনিয়র উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য মধ্য-মেয়াদী পরীক্ষা অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আঞ্চলিক বা আন্তঃস্কুল ভিত্তিক কোন পরীক্ষা নেয়া যাবে না। 

"নন-গ্রাজুয়েট জুনিয়র হাই স্টুডেন্টদেরও সাপ্তাহিক পরীক্ষা, ইউনিট পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা ইত্যাদি আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হবে না “

এ বিষয়ে চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন এটি শিশুদের উপর চাপ কমানোর জন্য সঠিক একটি পদক্ষেপ। অন্যরা প্রশ্ন রেখেছেন, স্কুলগুলো পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে দক্ষতা পরীক্ষা করবে এবং পরিমাপ করবে।

নতুন নির্দেশিকায় শিক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগকেও সীমাবদ্ধ করা হয়েছে এবং বেসরকারি টিউটরিং সেক্টরকে বাধাগ্রস্ত করবে। যার আর্থিক মূল্য ১২০ বিলিয়ন ডলার। 

শিশুদের লালন -পালনের আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি জন্মহার কমার প্রবণতা মোকাবেলায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

দেশটিতে শিক্ষার বৈষম্যও একটি সমস্যা তৈরি করছিল। অধিক ধনী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শীর্ষ বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে। শিক্ষার ব্যবস্থা সম্পত্তির দামকেও প্রভাবিত করে। ধনী বাবা -মা স্কুল এলাকায় সম্পত্তি কিনে নেয়। 

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বছর প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য হোমওয়ার্ক এবং জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রাতের দেড় ঘণ্টার সীমিত হোমওয়ার্কও নিষিদ্ধ করেছে।