অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পরিস্থিতি যাই হোক দায়িত্ব ভুলে যাবেন না, চিকিৎসকদের প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২০ শনিবার   আপডেট: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

"চিকিৎসা একটি মহান পেশা। একজন অসুস্থ মানুষের সেবা করে একজন চিকিৎসক মূলত মানবতার সেবা করেন। সুতরাং আপনি যখন ডাক্তার হবেন আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে মানবতার সেবা করা। আশা করি যেকোন পরিস্থিতিতে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।"

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে ঠিক এভাবেই বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি শনিবার (১৭ অক্টোবর) ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বক্তব্য রাখছিলেন বাংলাদেশ অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটি আয়োজিত ‌‌'ক্রিটিকাল কেয়ার-২০২০' শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলনে। 

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, মানবতার সেবাই একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ। আশা করি যে কোন পরিস্থিতিতে আপনারা (চিকিৎসক) আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ডেড বক্তৃতা উপস্থাপন করা হয়। 

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের  শ্রম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমই পারে বাংলাদেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

আমাদের সৌভাগ্য বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার দুটোই কম। আশা করি আগামী দিনগুলোতে এই মহামারীর আরও বিস্তার রোধ করতে  আমরা সক্ষম হবো, বলেন শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় দায়িত্বপালনকালে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসহ উল্লেখ্যযোগ্য চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারে উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দেশের স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে আমার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই আমরা শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে, ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ চিকিৎসার সেবা সম্প্রসারণ করেছি।

অ্যানাস্থেসিওলজির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্জারির আগে, চলাকালীন সময়ে ও পরে রোগীদের পেরিওপারেটিভ যত্নের সঙ্গে  অ্যানাস্থেসিওলজির বিষয়ে সর্বত্রই বিশেষ মনোযোগ বাড়ছে। এর কারণ এর আওতায় এনেস্থেসিয়া, নিবিড় যত্নের ওষুধ, ক্রিটিক্যাল জরুরি ওষুধ ও ব্যথার ওষুধ। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। 

তিনি বলেন, সংকটাপন্ন রোগীদের ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি অ্যানাস্থেসিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটারে  খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কোভিড-১৯ মহামারীতে  আমাদের অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসরা আইসিইউতে এবং আইসিইউ'র বাইরের কোভিড -১৯ রোগী ম্যানেজমেন্টে  দুর্দান্ত কাজ করে চলছেন।

গুরুত্বতর রোগীদের সেবায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টসদের প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটির ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অ্যানাস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটি ‌' কোভিড আইসিইউ ম্যানেজমেন্টে জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। তারা সারাদেশে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং করোনা রোগী ম্যানেজমেন্টে আইসিইউ ডাক্তার এবং স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। 

বাংলাদেশ অ্যানাস্থেসিওলজি অবদানকে যথাযথ ভাবে স্বীকৃতি দেবে, আন্তর্জাতিক ফোরামকে জানান প্রধানমন্ত্রী।