অনন্য বিলস এর একটি অনন্য সংকলন
শ্রমজীবী মানুষ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মাহমুদ মেনন, সাংবাদিক ও শিক্ষক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার আপডেট: ০৬:৩০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার
বইটি ছোট। মাত্র ২৪ পৃষ্ঠার। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো। বস্তুত, আপনি যখন পড়বেন, তখন রুদ্ধশ্বাসেই পড়তে হবে। পড়তে পড়তে আপনার বুকটা ফুলে ফুলে উঠবে। এক গর্বের অনুভূতি হতে থাকবে। চেতনাবোধ জাগ্রত হবে। আপনার ভেতরের যে মানবিক বোধ, বঞ্চিত অবহেলিতদের জন্য যে ভাবনা তা জাগরুক হতে থাকবে। যে ভাবনা ছিলো জাতির জনকের। দেশের কৃষক, শ্রমিক, মজুর অর্থাৎ গায়ে খেটে খাওয়া, নিজের ক্ষুন্নিবৃত্তির দুটি অন্ন যারা নিজেরাই যুগিয়ে খায়, তাদের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবনাগুলোই সন্নিবেশিত হয়েছে এই বইয়ে।
বই নয়, এটিকে পুস্তিকা বলা চলে। কিংবা ছোট্ট একটি সংকলন। যাতে সংকলিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেইসব ভাষণ যাতে দেশের শ্রমজীবী মানুষের কথা ছিলো। স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির কোনো বক্তৃতাই হয়তো এমন ছিলো না, যাতে সাধারণ নীপিড়িত বাঙালির কথা ছিলো না। কিন্তু কিছু কিছু বক্তৃতা ছিলো যাতে তিনি সরাসরি এই খেটে খাওয়া মজুর, কৃষক শ্রমিকদের নিয়ে কথা বলেছেন, কিংবা এই শ্রমজীবী মানুষের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। জাতির জনকের জন্মশত বর্ষে সেই বক্তৃতাগুলোকে সংকলিত করে এই পুস্তিকাটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস।
বিলস-নামটির একটা অনন্য দিক রয়েছে। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা এই বিভাজনময় রাজনীতির যুগে আর খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস দেশের শ্রমজীবি মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে এমন সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। সকল রাজনৈতিক দল মতের শ্রমিক নেতারা এর পরিচালনায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর শ্রমিক সংঘ জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল-বিএনপির শ্রমিক সংঘ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এর প্রধান নেতৃত্বে। দুই দলের দুই প্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান দুই দায়িত্বে থাকেন। একজন চেয়ারম্যান, একজন মহাসচিব। বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ, যিনি একসময়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নজরুল ইসলাম খান, যিনি শ্রমিক দলের একসময় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে এই সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। তবে বিলস নয়, বইয়ের আলোচনায় আসা যাক। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন যৌথভাবে হাবিবুর রহমান সিরাজ ও নজরুল ইসলাম খান।
গোড়াতেই তারা লিখেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতীত শ্রমজীবি, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি 'দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর' জন্য ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষকে ভালবাসতেন।
দেশের দুই প্রধান শ্রমিক নেতা তাদের বক্তব্যে একথাগুলো বলে তাদের এই ছোট্ট পুস্তিকায় স্মরণ করেছেন জাতির জনকের সেই সব ভাষণের কথা যাতে তিনি সরাসরি শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেছেন, তাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন, তাদের যোগ্য মর্যাদা দিতেন, এবং তাদের প্রতি মর্যাদাশীল হতে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানাতেন। আর সাথে সাথে শ্রমজীবী মানুষকে দিতেন জাগরণের প্রেরণা।
মুখবন্ধে তারা আরও বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষকে যেভাবে আপন করে নিয়েছিলেন, যেভাবে সম্মান দিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল।'
সত্যিই বিরল। এই ছোট্ট পুস্তিকায় বঙ্গবন্ধুর সেই সবভাষণ সংকলিত হয়েছে যা শ্রমজীবী মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্ববহন করে। বঙ্গবন্ধু হয়তো এমন ভাষণ তার জীবদ্দশায় শত শত বার দিয়েছেন। তবে এই সংকলনে মোট ১১টি ভাষণ স্থান পেয়েছে। যার প্রতিটি ভাষণ শ্রমজীবীর জন্য জীবনাদর্শের বাণি বহন করে।
প্রথমেই স্থান পেয়েছে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয়করণের নীতি ঘোষণা উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি। যার প্রথম বিষয়টি ছিলো- আর নয় শ্রমিক-মালিক বিরোধ। জাতি গঠনের প্রথম দিনগুলোতেই জাতির জনক এই বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বলেছিলেন সম্পদ বণ্টনে সমতার কথা। শ্রমিক প্রতিনিধিদের মর্যাদার আসনে বসিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেন, শ্রমিক নেতাদের আহ্বান জানান তাঁর নিজের সঙ্গে তার সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার।
এরই মধ্যে এসে পড়ে মহান মে দিবস। স্বাধীন দেশে প্রথম মে দিবসে জাতির জনক স্পষ্ট করে তোলেন তার সরকার কতটা শ্রমিকবান্ধব। এই দিন তিনি তার ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আহ্বান জানান দেশ গড়ার কাজে যে লড়াই তাতে সামিল হতে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভোলাতে চাননি তিনি জাতিকে। বরং তাদের কাছে অকপটে স্বীকার করে নেন সম্মৃদ্ধির পথে কোনো সংক্ষিপ্ত রাস্তা তার জানা নেই। বরং কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগই এনে দিতে পারবে সম্মৃদ্ধি।
এ বছর ৯ মে রাজশাহী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দেওয়া এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, সবাইকে আজ শুধু কাজ করতে হবে। শ্রমিক ভাইয়েরা আমার কাজ করতে হবে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, একটু লেখাপড়া করো। যার জন্য যে আহ্বান প্রযোজ্য, ঠিক সেটাই জানাতেন বঙ্গবন্ধু।
সেদিন একটি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু কতটা বন্ধুর পথ অতিক্রম করছিলেন তা প্রকাশ পায় এই বক্তৃতায়। তিনি বলেছিলন- 'কি করে আমি চালাবো? আমি তো বুঝতে পারি না, আমি তো পাগল হয়ে যাই। আমি কি করে কি করবো? আমার তো চিন্তায় ঘুম হয় না। আর এসব বলে পরক্ষণেই তিনি আহ্বান জানান, ভাইয়েরা আমার, আপনাদের কাজ করতে হবে। কাজ না করলে কিছুই হবে না।'
শ্রমিকের ঘামে-শ্রমেই যে গঠিত হতে পারে একটি জাতি তার ওপর দৃঢ় আস্থা জাতির জনকের ছিলো। তা উদ্ভাসিত হয় এই ভাষণে। যে কারণে একটি ছোট্ট কর্মসূচির গুরুত্ববহ ভাষণটি স্থান করে নিয়েছে বিলসের সংকলনে। পরের দিন ১০ মে পাবনায় একটি ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেটিই এই সংকলনে রয়েছে। যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবীদের প্রতি তার ভালবাসার এক অনন্য বাণি উচ্চারণ করেছিলেন। 'মেহেরবানি করিয়া শ্রমিক ভাইয়েরা দুধ খান। গাইটা জবাই দিয়ে খাবেন না। জাতীয়করণ ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি করতে হলে শ্রমিকদের অত্যন্ত দায়িত্ব নিতে হয়- সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।' অর্থাৎ শ্রমিককের স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি শ্রমিকের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতেও কখনো ভোলেননি জাতির জনক, যা এই বক্তৃতায় উদ্ভাসিত।
পরে ৭ জুন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু আবারও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন- আমার কাছে দাবি করার দরকার নাই। আমি আপনাদের জন্য জীবনভর দাবি করেছি। আপনারা আমার কাছে কি দাবি করবেন? আপনারা না বললেও আমি ২৫ টাকা বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। এভাবে নিজেই উদ্যোগী হয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে গেছেন, আর শ্রমিকদের কাছে একটাই দাবি করে গেছেন তারা যেনো তাদের কর্তব্য ভুলে না যান। কারণ শ্রমিকদের কর্তব্য হচ্ছে উৎপাদন করা।
সে বছর ১৬ জুলাই জাতির জনক ভাষণ দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক অধিবেশনে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সে আয়োজনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- 'সরকার কারো ব্যক্তিগত অধিকার নষ্ট করতে চায় না।'
এর দুই দিন পর ১৮ জুলাই আদমজীনগরে এক বিরাট জনভায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তখনও তিনি শ্রমিকদের প্রতি উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান। বলেন- মানুষের অন্নের ব্যবস্থা করতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হবে। এবং আরও বলেন, উৎপাদন বাড়লে শ্রমিকের লাভ। উৎপাদন বাড়লে লাভের একটা অংশ পাবেন শ্রমিকরা।
এমন আরও অনেক বক্তব্য-বক্তৃতা-ভাষণ ছিলো বঙ্গবন্ধুর। যার প্রতিপাদ্য ছিলো শ্রমজীবী মানুষকে ঘিরে। তবে ১৯৭৪ সালে ১৫ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সামনে রেখে বেতার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণের একটি অংশ এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অর্থাৎ কৃষক শ্রমিকের জন্য তার সম্মান ও মর্যাদাবোধের অনন্য প্রকাশ ঘটে। বইটিতে সেই অংশটুকু তুলে ধরেছে বিলস। সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- 'আপনি চাকুরি করেন। আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। ওই বেটা কোথা থেকে আসলি? সরকারি কর্মচারীদের বলবো, মনে রেখো এটা স্বাধীন দেশ। এটা ব্রিটিশ কলোনি নয়, পাকিস্তানি কলোনি নয়। যে লোকেরে দেখবা, তার চেহারা তোমার বাবার মতো, তোমার ভাইয়ের মতো। ওরাই সবচেয়ে বেশি সম্মান পাবে। কারণ ওরা নিজে কামাই করে খায়।'
শুরুতেই বলেছি পড়তে পড়তে আপনার বুকটা উঠবে ফুলে। সত্যিই তাই। ১৯৭৫ সাল। সেটি বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় সশরীরে বেঁচে থাকার শেষ বছর। সে বছরের অন্তত তিনটি ভাষণ এই সংকলনে স্থান পেয়েছে। একটি ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে। এই অধিবেশন জাতির জনক বলেছিলেন- 'আমার শ্রমিকেরা খারাপ নয়। আমার শ্রমিকরা কাজ করতে চায়। আমার শ্রমিকরা আজকে কাজ করছে। ফুড প্রডাকশন তারা এগিয়ে নিয়েছে।' এভাবে শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতি দেন বঙ্গবন্ধু। সে বছর ৮ মার্চ টাঙ্গাইলের কাগমারিতে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তিনি শ্রমজীবিদের সম্মানিত করেন তার বক্তৃতায়। বঙ্গবন্ধু বলেন- 'সম্মান যদি দিতে হয়, যে কাজ করে সেই সম্মানি।'
ছোট্ট সংকলনটিতেই চার পৃষ্ঠা জুড়ে স্থান পেয়েছে একটি বক্তৃতা। যেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ, তার জীবদ্দশার শেষ স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে। সেদিনও তার বক্ততার পরতে পরতে ছিলো শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের কথা। যথার্থভাবেই বিলস সে বক্তৃতা তুলে এনেছে সংকলনে। সেদিন বঙ্গবন্ধু শ্রমিক সংগঠনগুলো কিভাবে সাংগঠনিকভাবে বিন্যস্ত হয়ে তাদের কাজ করবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। শ্রমিক-কৃষকের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় শুধরে দিয়েছিলেন সমাজের উচ্চ পর্যায়েয় মানুষদের। 'ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক, ওদের দ্বারাই আপনার সংসার চলে,' বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
শ্রমিকের কষ্টের কথা তার জানা আছে, বলেছিলেন জাতির জনক। তবে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে- এমন কষ্ট একদিন থাকবে না। তিনি বলেন, 'সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার গ্যাস আছে, আমার চা আছে, আমার ফরেস্ট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ- এ দিন থাকবে না।'
বক্তব্যের শেষভাগে বঙ্গবন্ধু বলেন, 'শ্রমিক ভাইয়েরা, আমি শ্রমিক প্রতিষ্ঠান করেছি। আপনাদের প্রতিনিধি ইন্ডাস্ট্রি, ডিপার্টমেন্ট, লেবার ডিপার্টমেন্টের শ্রমিক প্রতিনিধি বসে একটা প্ল্যান করতে হবে। সেই প্ল্যান অনুযায়ী কি করে আমরা বাঁচতে পারি তার বন্দোবস্ত করতে হবে।'
জাতির জনকের বাতলে দেওয়া পথে দেশে শ্রমিক ইউনিয়ন হয়েছে, ট্রেড ইউনিয়ন হয়েছে। তাদেরই সংগঠন এই বিলস। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষে তাই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ছোট্ট সংকলনটি হয়ে থাকবে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জন্য যারা কাজ করে তাদের জন্য তথা সকলের জন্য একটি অনন্য নথি।