অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পুলিশ প্রধানের বাড়িতে সোনায় গড়া টয়লেট, তাও ঘুষের!

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ২৫ জুলাই ২০২১ রোববার   আপডেট: ১১:০০ এএম, ২৫ জুলাই ২০২১ রোববার

রুশ পুলিশের ঘুষের বদনাম বেশ রয়েছে। এখানে ওখানে রাস্তাঘাটে ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ খায়। তাতে লাখ লাখ ডলার তারা কামায়। কিন্তু তাই বলে কমোড নিলো ঘুষে! তাও আবার খোদ ট্রাফিক পুলিশের প্রধান। তবে সে কমোড যে সে কমোড নয়। রীতিমতো সোনায় মোড়ানো, সোনায় গড়ানো।

আপনাদের খুলেই বলি। দেশটির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঘুষবিরোধী অভিযানে নেমে এই টয়লেটের আবিষ্কার করেছে ট্রাফিক পুলিশ প্রধানের বাড়িতে। সেখানে টয়লেটের মূল কমোড সোনায় তৈরি। আর এর মেঝে তৈরি হয়েছে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ মার্বেল পাথরে। পুলিশ প্রধানের সে এক রাজকীয় জীবন। রাজকীয় আলিশান বাড়ি। কবিতার সেই- এগুতে সাতমহল পেছতো সাতমহলের মতো হয়তো নয়। তবে সে বাড়ি আধুনিক আভিজাত্যের আতিশয্যে ভরা। রাশিয়ার স্টাভরোপোল এলাকায় যার অবস্থান।

তবে পুলিশপ্রধান কিন্তু এখন শ্রীঘরে। মানে জেলে। তাকে পুলিশেেই ধরেছে। আর সোজা পাঠিয়ে দিয়েছে কয়েদখানায়। সেখানে সাজা যদি হয় দেশের আইনে- তাতে হয়তো গরাদের ওপারে তাকে কাটিয়ে দিতে হতে পারে কম করে হলেও আট বছর। আর সাজা সর্বোচ্চ হলে তা ১৫ বছরেও গড়াতে পারে।  

পুলিশের এই বড় কর্তাটির নাম অ্যালেক্সেই সাফোনোভ।

তদন্তকারী কমিটিও কম যায় না। পুলিশের প্রধানের কেবল টয়লেটই নয় গোটা বাড়ির ভিডিও ধারণ করেছে। সে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে- চকমকে, ঝলমলে, চোখ ধাধানো সব আসবাব-সামগ্রী। কেবল যে টয়লেটটাই সোনার, সে কথা ভেবে বসবেন না যেনো। আসবাবসামগ্রীর অধিকাংশই সোনায় মোড়ানো নয়তো সোনায় গড়ানো। সেগুলো হয় মেঝেতে নয়তো দেয়ালে সোনালী ছটা ছড়াচ্ছে। এমনকি রান্নাঘরের কিচেন ড্রয়ার, ফার্নিচারগুলোতে পড়েছে সোনার ছোয়া। সে বাড়ির সবুজ লনে পার্কিং শোভাপাচ্ছে সব বিলাসবহুল গাড়ি।

বাড়িতে একটা আউট হাউজ রয়েছে। পুরোনো বাঙালি পাঠক বুঝতে পারবেন কাচারি ঘর বললে। ওটা হয়তো বাড়ির মেহমানদের জন্যই বানানো। সেটিতেও কোনো কোনো আসবাব স্বর্ণখচিত। তবে তদন্তকারীরা সবচেয়ে মজা পেয়েছেন টয়লেটের ওই সোনার কমোডেই।