অমিত শাহ বলেছিলেন গরু দেওয়া হবে না, আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১ শনিবার
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না, কারণ আমাদের খামারিরা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না, কারণ আমাদের খামারিরা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। তারপরও অতিলোভী দুএকজন ব্যবসায়ী সীমান্ত দিয়ে এগুলো করে বলেই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তবে এ বিষয়ে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এসব কথা বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে গরু দেওয়া হবে না। উত্তরে বলেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ!’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শিগগিরই ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে। দুই দেশের সীমান্তে যে কমিটমেন্ট রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। একারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে। শিগগিরই সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরও তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির সংখ্যায়ই বাড়ানো হয়নি, বর্ডার সার্কুলেসন্স সিস্টেম আমরা উন্নত করেছি। শুধু তাই নয়, মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন- সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোঠায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ’
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এমনও কিছু বাড়ি আছে সীমান্তের খুব কাছাকাছি। অনেক সময় দেখা যায় সীমান্ত এলাকায় ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক এবং সবসময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। একারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ’
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির ত্রিমাত্রিক আধুনিকায়নের ফলে অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব সীমান্ত পিলারের কাছে আগে যেতে পারতাম না যেগুলো পিলারের কাছে আমরা এখন নিয়মিত টহল দিতে পারছি। সীমান্ত পারাপার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।