ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ১২ জুলাই ২০২১ সোমবার আপডেট: ০১:২৪ পিএম, ১২ জুলাই ২০২১ সোমবার
ইউরো ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে গোল করেও ফুটবল ‘ঘরে ফিরে যায়নি’। বরং টাইব্রেকারে মানসিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
মূল সময়ে ১-১ সমতার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও সমতার পর টাইব্রেকারে নায়ক বনে যান ইতালির গোলরক্ষক ডোনারুমা। জোড়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে মাতান উল্লাসে।
৫৫ বছর পর কোন বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। আর ইউরোর ক্ষেত্রে সেটা প্রথমবার। এছাড়া পারফরম্যান্স বিচারে ব্রিটিশ মিডিয়া থেকে জনসাধারণের মুখে মুখে রব ছিল ফুটবল কামিং হোম। অর্থাৎ জন্মস্থানে ফিরে আসছে। কিন্তু্ এই প্রত্যাশাই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ইতালির জন্য।
অন্যদিকে ইতালি ২০০৬ বিশ্বকাপ জয় ও ২০১২ ইউরো ফাইনাল খেললেও ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া তাদের প্রথাগত রক্ষণাত্মক ফুটবলের নিয়ম ভাঙায় বলা হচ্ছিল এটা ইতালির পূনর্জন্ম। সেটাকে এবার রূপকথায় পরিণত করলেন অধিনায়ক কিয়েল্লিনিরা।
অথচ খেলা শুরু না হতেই গোল করে বসে ইংল্যান্ড। ইতালির রক্ষণ ভুলে প্রতি আক্রমণে ভয়ংকর হয়ে ওঠে ত্রিপিয়ার। ডান পাশ থেকে ক্রস করেন বাঁ পাশে ফাঁকায় থাকা লুক শ এর কাছে। বল রিসিভ না করেই সোজা শট নিয়ে বল জালে জড়ান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার।
ঘড়িতে ম্যাচের সময় তখন মাত্র ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। এ্টা ইউরোর ফাইনাল ইতিহাসে এমনকি ইংল্যান্ড ফুটবলের সবচেয়ে দ্রুততম গোল। সে গোলের পর ২০ মিনিট ম্যাচে আধিপত্য চালায় ইংল্যান্ড। পরে আস্তে আস্তে গুছিয়ে নেয় ইতালি। কয়েকবারই ভয়ংকর হয়ে ওঠে জুভেন্টাস স্ট্রাইকার কিয়েসা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও চাপ বাড়াতে থাকে ইতালি। এরমধ্যে কর্নার থেকে ৬৭ মিনিটের বল জালে জগান বুড়ো সৈনিক বনুচ্চি। মূল সময় সমতায় শেষ হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের ১৫ মিনিট আবারও দাপট দেখাতে থাকে ইংল্যান্ড। কিন্তু গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
১১৯ মিনিটে পেনাল্টি কিক নেয়ার জন্য জডান সানচো ও মার্কোস রাশফোর্ডকে মাঠে নামান ই্ংলিশ কোচ সাউথগেট। ১৯৯২ ইউরো সেমিফাইনালের পেনাল্টি মিস করেছিলেন সাউথগেট। তার শিষ্যরাও একই কাজ করলো।
দুদলের প্রথম শটে বল জালের জড়ান বেরারদি ও হ্যারি কেন। দ্বিতীয় শটে আন্দ্রে বেলোত্তি মিস করলেও হ্যারি ম্যাগুইরের শটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। পরে বনুচ্ছি বল জড়ানোর পর পোস্টে লাগান রাশফোর্ড। আবারও আসে সমতা।
এবার ইতালিরর ফেদেরিকো বল জালে জগানোর পর জডান সানচোর শট নিজের বাঁ দিকে ঝাপিয়ে বাঁচান ডোনারোমা।
জর্জিনহোর নেয়া শেষ শটটি জালে গেলেই হতো নীল উৎসব। কিন্তু সেটা ঠেকিয়ে নায়ক হওয়ার সুযোগ করেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। কিন্তু সেটা হয়নি ১৯ বছরের তরুণ বুকায়ো সাকার দুর্বল শটের কারণে। যেটি ঠেকিয়ে ইতালির শিরোপা নিশ্চিত করেন ডোনারুমা।