অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘অভিশপ্ত’ পম্পেই ভ্রমণে সাবধান!

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার   আপডেট: ০১:৫৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

জীবনে অভিশাপ ডেকে এনেছে এমন অভিযোগে সম্প্রতি পাঁচটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ফিরিয়ে দিয়েছেন এক কানাডিয়ান নারী। নিদর্শনগুলো ২০০৫ সালে পম্পেই ভ্রমণকালে তিনি চুরি করে সাথে নিয়ে এসেছিলেন। 

সম্প্রতি কুরিয়ারে পাঠানো নিকোল নামের এক মেয়ের চিঠি পায় পম্পেই পর্যটন কর্তৃপক্ষ। চিঠির সাথে দুটি সাদা মোজাইক টাইলস, দুটি ফুলদানি ও একটি সিরামিকের খন্ডও পাঠান নিকোল। চিঠিতে উল্লেখ করে জিনিসগুলো ফিরিয়ে দেয়ার কারণও। 

চিঠিতে বলা হয় ‘আমি ইতিহাসের কিছু অংশ সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম যা মূল্য দিয়ে কেনা যায়না। কিন্তু এগুলো নিয়ে কানাডায় ফিরে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই দফা স্তন ক্যান্সারের কারণে কাটতে হয়েছে স্তনদ্বয়। এছাড়াও এই ১৫ বছরে চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছে আমার পরিবার। মনে হচ্ছিল আমরা কেবল পিছিয়ে পড়ছি, তাই এই অভিশপ্ত জিনিসগুলো ফিরিয়ে দিলাম।’ 

পম্পেইতে মর্মান্তিকভাবে মানুষ মারা গিয়েছিলো আর আমি সেখানের কিছু টুকরো নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, অভিশপ্ত জিনিসগুলো সাথে রেখে আমি আমার পরিবার আর সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে পারিনা।

উল্লেখ্য, পম্পেই হল একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান শহর। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামা পাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়। সে ঘটনায় মারা গিয়েছিলো অসংখ্য নাগরিক। 

১৭৪৮ সালে পম্পেই নগরীর ধ্বংসাবশেষ পুনরাবিষ্কৃত করা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল যা সবচেয়ে বেশি মানুষ পরিদর্শন করেছেন।
 
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো পম্পেই থেকে চুরি হওয়া নিদর্শন ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা কিন্তু এবারই প্রথম নয়। এর আগে শতাধিক পর্যটক মোজাইক, প্লাস্টারের কিছু অংশসহ আরও ছোট ছোট নিদর্শন ফিরিয়ে দিয়েছেন।  

পর্যটন কেন্দ্রটির মূখপাত্র জানান, এর আগেও পর্যটকরা চিঠিসহ এমন নিদর্শন ফিরিয়ে দিয়েছেন। জিনিসগুলো মূল্য বেশি না হলেও চিঠিগুলো মজার হওয়ায় আমরা সেগুলো আলাদা ডিসপ্লেতে রাখছি।