৫৫ বছর পর স্বপ্নের ফাইনালে ইংল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৯:৩৬ এএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার
টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে হার, তারমধ্যে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসন মাঠের বাইরে চলেন হার্ট অ্যাটাকে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ঠিকই দলটি জায়গা করে নিল ইউরোর সেমিফাইনালে। এ স্বপ্নযাত্রা হয়তো আরও দূর যেতে পারততো কিন্তু তেমনটা হয়নি রেফারির দেয়া বিতর্কিত পেনাল্টিতে।
ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছেন ইংল্যান্ড। শুরুতে মাইকেল ডেমসগার্ডের গোলে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। পরে সিমনের আত্মঘাতি গোলের সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। মূল সময় খেলা ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে বিতর্কিতে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। স্পট কিক মিস করলেও পরের শটে গোল করেন হ্যারি কেইন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রবরব ছিল ফুটবল কি ঘরে ফিরছে? সে রবে এবার জোর হাওয়া লাগালো ইংল্যান্ড। ৫৫ বছর পর কোন প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলো দলটি। তারচেয়ে বড় বিষয় ইউরোতে এটা লায়ন্সদের প্রথম ফাইনাল।
সেমিফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই ডেনমার্ককে চাপে রেখেছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগটা পেয়েছিল ডেনমার্কই। ১৬ মিনিটে বল ডিস্ট্রিবিউট করতে গিয়ে ভুল করে বসেন পিকফোর্ড। সে যাত্রায় অবশ্য কোনো বিপদ হয়নি।
তবে ৩০ মিনিটে পুরো ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামকে চুপসে দেন মাইকেল ডমসগার্ড। ডি বক্সের অনেক বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে জোরালো শটে জালে জড়ান তিনি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের মতো স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছু করার ছিল না ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ডের। এটিই চলতি টুর্নামেন্টে ফ্রি-কিক থেকে প্রথম গোল। এতে ভেঙে যায় ইংলিশদের জাল অক্ষত রাখার রেকর্ডও।
অবশ্য বিরতির আগেই স্বস্তি ফেরায় ইংল্যান্ড। ৩৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক স্মাইকেল। এর মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরে দলটির অধিনায়ক কায়েরের আত্মঘাতি গোলে। সাকা বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রহিম স্টার্লিংয়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার আগেই বল কায়েরের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
কিন্তু কেউই জালের দেখা না পাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে যায় ম্যাচ। ১০২ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। মিখেল বক্সের ভেতর স্টার্লিংকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভিএআরেও এই সিদ্ধান্ত বদলায়নি। তবে সাধারণ চোখে সেটাকে ফাউলই মনে হয়নি দর্শকদের কাছে।
কিন্তু হ্যারি কেইনের নেওয়া পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক স্মাইকেল। ফিরতে শটেই বল জড়ান তিনি। উল্লাসে মাতে পুরো ওয়েম্বলি, ইংল্যান্ড।