অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ৬ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ১০:১২ এএম, ৬ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

গ্রুপ পর্বে ৪ গোলের ব্যবধানে পেরুকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু নকআউট পর্বে  হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত গতবারের ফাইনালিস্টের হারিয়ে এবারের কোপার ফাইনাল নিশি্চত করেছে সেলেসাওরা।

কোপার  প্রথম সেমিফাইনালের পেরুকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিও মিডফিল্ডার লুকাস পfকুয়েতা। অন্যদিকে গোল না পেলেও পুরো ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেন নেইমার।

১৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় গোলরক্ষক গালেসের কল্যাণে গোল হজম করেনি পেরু। ক্যাসেমিরোর থ্রু বল থেকে লুকাস পাকুয়েতা বাইলাইনের কাছে পেয়ে যান বল, তার কাটব্যাক থেকে নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গালেসে। রিশার্লিসনের ফিরতি চেষ্টাটাও এরপর শেষ হয়েছে গালেসের সেভ থেকেই।

৩৪ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। নেইমার দারুণ এক আক্রমণের শেষ দিকে ঢুকে পড়েন পেরু রক্ষণে। ততক্ষণে চার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার ছেঁকে ধরেছেন তাকে, নেইমার বল হারাননি তাতে, দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল দখলে রেখে শেষে বাড়ান সতীর্থ লুকাস পাকুয়েতাকে। তার প্রথম ছোঁয়াতেই করা দারুণ শটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। চিলির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের একমাত্র গোলটি আসে তার পা থেকেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিবর্তন আনেন পেরুর কোচ রিকার্ডো গ্যারেকা। ট্রাউকোক তুলে নিয়ে লোপেজকে মাঠে নামান তিনি। একই সময়ে রামোসের বদলে মাঠে নামেন গার্সিয়া। এই গার্সিয়া মাঠে নেমেই খেলার ধারা পরিবর্তন করে দেন। পুরো ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন যেন পেরুকে।

লোপেজ আর গার্সিয়া নতুন উদ্যমে আক্রমণ শুরু করে। যার ফলে ৪৯ মিনিটে অসাধারণ এক আক্রমণ সাজায় পেরু। ইয়োতুনের থ্রো বল ধরে বক্সের মধ্যে বল নিয়ে যান লাপাডুলা। তার দুর্দান্ত শট অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় রক্ষা করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন।

৬১ মিনিটে ব্রাজিলকে আরও একটি গোল থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এডারসন। গার্সিয়ার শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন এডারসন। ফিরতি বলে যদিও লাপাডুলার চেষ্টা ছিল, কিন্তু সেটি ছিল অফসাইড।

৬৫ মিনিটে নেইমার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই সুযোগটিকে হেলায় হারান পোস্টের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়ে।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের রক্ষণই এরপর পোক্ত হয়েছে পাল্লা দিয়ে, তবে ক্ষুরধার আক্রমণেরও যেন অভাব ছিল বেশ। তাতে গোলের দেখা আর পায়নি কোনো দল। কোনো রকম অঘটন ছাড়াই ব্রাজিল নিশ্চিত করে ফাইনাল। যেখানে সেলেসাওরা মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া ম্যাচের বিজয়ী দলের।