কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় ১০০০০০ টাকার প্রাইজমানি জিতলেন ফাতেমা মোস্তারী
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার আপডেট: ১২:৩৩ এএম, ৬ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফ্রিল্যান্সিং ইনোভেশন কনটেস্ট ২০২১ এর গ্রান্ড ফাইনাল। এক লাখ টাকার প্রাইজমানির এই প্রতিযোগিতা জিতে নিয়েছেন ফাতেমা মোস্তারী খান। তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। যার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বিষয়ক ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়াটিকে আইটি খাতে নজরের বাইরে থাকা একটি গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করবে বলেই বিচারকরা মত দেন।এবং তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। রবিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই গ্রান্ড ফাইনাল এবং এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
উইমেন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস (WSDFM) প্রকল্পের আওতায় ডাচ ফাউন্ডেশন ও কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।সারাদেশ থেকে ৬০ টিরও বেশি উদ্ভাবন ধর্মী ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিরা এতে অংশ নেন।
দুটি রাউন্ডের মাধ্যমে প্রথমে সেরা দশ এবং ফাইনাল রাউন্ডের জন্য সেরা পাঁচটি দলকে বাছাই করা হয়।অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত গ্রান্ড ফাইনালে সেই পাঁচটি দল তাদের আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যান বিচারকদের সামনে তুলে ধরে।বিচারকরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের আইডিয়াগুলো কতটা প্রয়োগযোগ্য, এর প্রভাব বা ফল কি হতে পারে, এতে ব্যবসা, সেবা কিংবা প্রযুক্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও কৌশল কেমন হবে এবং সার্বিকভাবে এটা মানবতার উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে তার নিরীখে মূল্যায়ন করেন। সে মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সেরা ঘোষণা করা হয় ফাতেমা মোস্তারী’কে।তিনি একটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের বিশ্বের গ্লোবাল মার্কেট তথা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে আনার স্বপ্নের একটি প্রকল্পের কথা জানান।
প্রকল্পটিকে বাস্তবসম্মত, চিন্তাশীল ও প্রয়োগযোগ্য বলে বিচারকরা মত দেন।গ্রান্ড ফাইনালে আরও অংশ নেন শতাব্দী সরকার, এসএম আজমাইন আসফ, আমির ফয়সাল ও রাশেদ বিন ওমর এবং তাদের দল।চূড়ান্ত পর্বে প্রত্যেকটি দলই উদ্ভাবনী চিন্তার ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এদের প্রত্যেকেই পাঁচ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পাচ্ছেন। প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে বের করা।
বিজয়ের পর মোস্তারী খান বলেন, তিনি তার প্ল্যাটফর্মটি ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের গ্লোবাল মার্কেটে নিয়ে আসতে চান এবং সেখান থেকে তাদের পর্যাপ্ত স্কিল ট্রেইনিং এর মাধ্যমে গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে যুক্ত করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব মো. আব্দুল করিম। নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে যুক্ত হন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মোহাম্মদ মাহাদী উজ জামান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শাহীদ মালিক।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভুমিকায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। আরও ছিলেন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ'র সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও অপরাজেয় বাংলা.কম'র সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল করিম বলেন, নারীরা দেশের কল্যাণে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। এবং পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সফলতার দিকে অনেক এগিয়ে গিয়েছেন।তিনি কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানান।
দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এ নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোডার্সট্রাস্ট। এবং এই প্রতিযোগিতা তারই ধারাবাহিকতার একটি অংশ, বলেন আজিজ আহমদ।
শাহিদ মালিক কোডার্সট্রাস্ট এর সকল কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান।
উদ্যমী ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প দিয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রেখে যাবেন, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ মাহাদী উজ জামান।