অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্কুলে বিয়ে আয়োজনের অনুমতি না দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে হুমকি

বাসস

প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ৪ জুলাই ২০২১ রোববার  

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকার একটি স্কুলের মধ্যে বিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খাঁনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৩ জুলাই)  এই ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। রবিবার (৪ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। অভিযুক্ত মিয়া মো. হারুন খাঁন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি। 

পুলিশ জানায়, মো. নিজাম উদ্দিন ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার খাঁন সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া স্কুলে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ স্কুলে বিয়ের অনুমতি দেননি প্রধান শিক্ষক।

তবুও অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন স্কুলে বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর স্কুলে মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠান হতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে মানা করে দেন আসামিরা।

এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করলে গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল স্কুল পরিদর্শনে আসেন। এসময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক স্কুলে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি মিয়া মো. হারুন খাঁন, আরেক ভাই জানে আলম, মো. মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান।

তারা প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে টেবিলে থাপ্পর মেরে ‘তাকে দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। এসময় প্রধান শিক্ষককে স্কুলের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেলও ‘বাঁচাতে পারবে না’ উল্লেখ করে হত্যারও হুমকি দেন তিনি।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এ ঘটনায় শনিবার থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই প্রধান আসামি যুবদল নেতা মিয়া মো. হারুন খাঁনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় বাকি আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।